পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brミ মোহন অমনিবাস কারখানায় উপস্থিত হইলেন। তাহাদের সঙ্গে একজন সাজেন্ট ও দুইজন সিপাই গমন করিল। সর্বস্থানেই এই ব্যাপারের আলোচনা চলিতেছিল, পুলিস-অফিসারদের দেখিয়া জমিদারবাড়ীর পুরাতন ঘড়ি মিস্ত্রী ভীত হইয়া উঠিল। মিঃ স্যানিয়েল প্রশ্ন করিলেন, “তুমিই কি জমিদার-বাড়ীর বড় ঘড়ি মেরামত করেছিলে ?” হয়েছি, আমি আর নিজে কাজ করতে পারি না।” “কে করেছিল?” - “একজন নুতন কারিগর।” “কোথায় সে ?” “তাকে কাল থেকে আর দেখতে পাচ্ছি না, হুজুর।” কঁাপিতে কঁাপিতে মিস্ত্রী কহিল। মিঃ স্যানিয়েল কঠিন স্বরে কহিলেন, “সত্য কথা বলো। মিথ্যে বললে তোমার আর রক্ষে নেই! কত দিন সেই লোক কাজ করেছিল ?” ঘড়ি এনে দেখি, একটা লোক কারখানায় বসে রয়েছে। আমাকে দেখে বললে, “আমি হ্যামিলটনের বাড়ী, ওয়েস্ট এণ্ডের বাড়ী বহুদিন কাজ করেছি। আমি সব ঘড়ি মেরামত করতে পারি। বর্তমানে আমার কাজ নেই। আমার কাজ দেখে যদি সন্তুষ্ট হন, তবে আমাকে দুটি খেতে দিলেই হবে। আমি তাকে পরীক্ষা করবার জন্য বড় ঘড়িটা দেখিয়ে বললুম, “এই ঘড়িটা মেরামত করতে পারো ? সে হেসে বললে, ‘মুখের কথায় কাজ কী? কাজেই দেখুন!” এই বোলে ঘড়ি মেরামত করতে বসে গেল। যে কাজ দুসপ্তাহে হয় না, সেই কাজ মাত্র তিন দিনের মধ্যে শেষ কোরে দিলে;আমি তো হুজুর, আমার বাপের জন্মে এমন ওস্তাদের নাম শুনি নি। আমার এত আনন্দ হ’ল যে, খাওয়া-পরা আর হাত খরচের জন্য দশ টাকা মাইনেতে তাকে নিযুক্ত করলুম। পরদিন আমার সঙ্গে সে জমিদার বাড়ী গিয়ে ঘড়িটা খাটিয়ে দিয়ে এল। কিন্তু তার পরদিন থেকে আর তাকে খুঁজে পেলাম না। সেজন্য কত দুঃখ করছি আমি, বাজারের সব লোকই জানে হুজুর।” চীফ অফিসার কহিলেন, “লোকটা দেখতে কেমন?”_o “একেবারে হতভাগার মত, হুজুর! গায়ে তেল নেই, ছেড়া কাপড়-জামা গায়ে, পায়ে জুতো নেই। তেমন লোক যে এত বড়ো কারিগর, আশ্চর্যের কথা নয় কি, হুজুর ?” মিস্ত্রি কহিল। আশ্চর্য হইবার তাহদের সময় ছিল না। মিঃ সানিয়েল মিস্ত্রিকে সঙ্গে করিয়া লইয়া আসিলেন এবং তাহাকে নানাভাবে প্রশ্ন করিয়াও নুতন কথা কিছু পাইলেন না। তাহার কথা সত্য কি-না যাচাই করিতে, সত্য বলিয়া প্রমাণিত হইল। পরিশেষে চীফ অফিসার কহিলেন, “আমার আর কোন সন্দেহ নেই, মিঃ স্যানিয়েল দসু্য মোহন যে ঘড়িতে ডিটোনটার লাগিয়ে বোমা ভরে রেখেছিল, আর ফিউজের সঙ্গে সময় নির্ধারণের যোগাযোগ করেছিল, সে বিষয়ে আমার স্থির ধারণা জন্মেছে। এখন