পাতা:মোহন অম্‌নিবাস প্রথম খণ্ড.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Եr E so কারাগারে মোহন (>) জাহাজের নোঙ্গর না তোলা পর্যন্ত কেমন একটা অস্বস্তি বোধ হইতে লাগিল। সমুদ্রযাত্রা যদিও এই আমার প্রথম নয়, ইতিপূর্বে কয়েকবার ব্রহ্মদেশ ভ্রমণ কোরে এসেছিলাম, তা' হলেও মন-চাঞ্চল্যের হেতুটা যে আসলে কি বোঝবার চেষ্টা করবার পূর্বেই জাহাজ ছাড়বার শেষ ঘণ্টা পোড়ে গেল। ইলেকট্রিক শক্তি প্রয়োগ কোরে হাজার মনি নোঙ্গর দেখতে না দেখতে গঙ্গার তলদেশ হ’তে উঠে এসে জাহাজের খোলের একপাশ্বে আশ্রয় গ্রহণ করলে। - - - ধীরে ধীরে জাহাজ মাঝ গঙ্গায় এসে গতিবেগ বর্ধিত করলে। ধীরে ধীরে জেটি ও লোকজন আমাদের দৃষ্টির বাইরে চলে গেল। আমরা আমাদের যে যা’র কেবিনের দিকে চলে গেলুম। এতক্ষণ যে অস্বস্তির ভাব আমার মনের মধ্যে আলোড়ন তুলেছিল, সহসা কোথায় যে তা, অন্তহিত হয়ে গেল, বুঝতে পারলাম না। _x» - বৃহৎ জাহাজ। প্রথম শ্রেণীর যাত্র আমি। জাহাজের প্রথম শ্রেণী “ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সকল কেবিনগুলিই ভর্তি চলেছে। আমি একটা সম্পূর্ণ কেবিন রিজার্ভ করেছি। কারণ আমার স্বভাবের বিশেষত্ব আমার অন্য লোকের সঙ্গে বাস করাকে একান্তভাবে প্রতিরোধ করে। একমাত্র এই কারণের জন্যই আজ পর্যন্ত জীবন-সঙ্গিনী লওয়া সম্ভব হয়নি। কেবিনে একা এক ভাল লাগল না। আমি প্রথম শ্রেণীর ডেকে এসে দেখলুম, কয়েকজন তরুণ ও তরুণী ইতিমধ্যেই কয়েকখানি ডেক চেয়ার অধিকার কোরে বসেছেন। আমাকে একখানা চেয়ারে উপবেশন করতে দেখে একটি তরুণ একবার আড়চোখে আমার দিকে .০য়ে মুখ ফিরিয়ে পাশ্বের তরুণীর সঙ্গে আলাপে রত হ’লেন। আমি গঙ্গার দুই পাশ্বের দ্রুত মিলিয়ে যাওয়া তীরের দিকে চেয়ে অন্যমনস্ক হয়ে উঠলুম। “মশায় শুনছেন?” চমকিত হয়ে চেয়ে দেখি, একটি জীবন্ত হাতে আঁকা প্রতিমা দুটি ভ্রমর কৃষ্ণ চক্ষুতারকা