পাতা:ম্যালেরিয়া - দয়ালকৃষ্ণ ঘোষ.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ম্যালেরিয়া।
১৩

স্থানের বন পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করে। এই বিষয় নিশ্চয় জানিবার জন্য বোল‍্ডারসন সাহেবকে জিজ্ঞাসা করেন। বোল‍্ডারসন সাহেব বলেন কেবল বানরেরা কেন জ্যৈষ্ঠ হইতে অগ্রহায়ণ পর্য্যন্ত জীবমাত্রেই স্বভাব বশতঃ ঐ বন সকল পরিত্যাগ করে। ব্যাঘ্রেরা তথা হইতে পর্ব্বতোপরি উত্থিত হয়। কৃষ্ণসার ও শূকরেরা অবাদিত ভূমিতে প্রস্থান করিয়া ফসল বিনষ্ট করে। ডাকবেহারা ও সৈনিক পুরুষেরা কার্য্যোপরোধে কখন ঐ স্থান দিয়া গমনাগমন করিতে বাধ্য হইয়া দেখিয়াছে ঐ অরণ্য মধ্যে এই সময় একটী পশু পক্ষীর ও. কলরব শুনিতে পাওয়া যায় না। যখন শস্য বর্দ্ধিত ও জল প্রচুর পরিমাণে পতিত হইতে থাকে এবং গগনমণ্ডল মেঘাচ্ছন্ন হইয়া সূর্য্যের জলাকর্ষণী-শক্তিকে নিবারণ করিয়া রাখে তখন ঐ অরণ্য পীড়াদায়ক থাকে না। বর্ষা শেষ হইলে কিছুদিন পরে আবার কিছুমাত্র অনিষ্টকর থাকে না। পশু পক্ষীগণ এই সময়ে ঐ অরণ্য মধ্যে প্রত্যাগমন করে। কাঠুরিয়া ও রাখালগণ পুনর্ব্বার বন প্রবেশ করিতে সাহস করে, এবং চৈত্র বৈশাখ মাস পর্যন্ত সৈন্যগণ ঐ স্থান দিয়া নিঃশঙ্কায় যাতায়াত করে।

 কিছু দিন পূর্ব্বে যখন দামোদর নদের বাঁদ বন্ধন হয় নাই, উহার জল উচ্ছ্বসিত হইয়া হুগলীও বর্ধমান জেলার কতকগুলি গ্রাম প্লাবিত করিত। এমন কি, কোন কোন পল্লীতে এত জল হইত যে নৌকা ভিন্ন গ্রামের এক স্থান