পাতা:মৎস্যধরা নাটক.pdf/৯৩

グッ মৎস্যন্ধর নাটক অনেক কৌশলের দ্বারায় এক প্রকায় ঢেকে ছিলেম ; কিন্তু কার্য্যের দ্বারায় প্রকাশ হলো, অণুর থাকে না । এই বয়সে কত শত শত ললনাকে বশীভূত করেছি; কিন্তু এরূপ কৰ্ম্মভোগ কখনই করতে হয় নাই । এটার যে রকম রূপলাবণ্য আর কথা বাত্রার ধরণ ধারণ দেখচি, তাতে ছোট লোকের মেয়ে বোলে বোধ হয় না। যাই হোক, আমার সে অনুসন্ধানে প্রয়োজন কি ? এখন বৃদ্ধ যে নই, সেইটে কোন রকমে ঢাকৃতে পারলে ছয় ; তা না হলে ওকে হস্তগত করা ভার হবে । স্ত্রীলোকের কেমন যে স্বভাব প্রবীণ পুৰুষকে যেন বাঘ জ্ঞান করে, ভুলেও স্পর্শ করতে ইচ্ছে করে না, তাই বা কি কোরে কোৰ্ব্বে, বৃদ্ধ হলে কি আর পদার্থ থাকে ; কিন্তু আমি যে কেমন বৃদ্ধ তা তো জানে না । ( পশ্চাতে দৃষ্টিপাত করিয় ) ইস! এ জমী খানার সমুদয় জল ছেঁচে ফেলতে তো এখন ঢের বিলম্ব দেখচি, এখানে অনঙ্গের যেরূপ তাড়না, তাতে আর তো সহ করাও ভার হয়ে উঠেচে । ঐ দুঃখে দুরাত্মাকে একবার ভস্ম করে ফেলে ছিলেম, আশবণর ফেলবে নাকি ? উ, হু, সে যা হয় এর পর করা যাবে, অাজ তো নয়, এটাকে হাতে পেয়েচি, এখন ছেড়ে দেওয়া কি— বাদিনী । ও সয়" কথা কচোন যে ? শিব । ( ব্যগ্র হইয়া ) এই যে ছেচ্চি, ছে চি । ওহে ! এতে ছেচ গ্যাল, তবু জল্‌ মচেন কেন বল দেথি ? কোথাও যোগ টেগ তো পড়ে নি ? বাগিদনী । রোসে দেখি, অশর একবার ভাল কোরে দেখে আসি ( সেতু সন্নিকটস্থ হইয় ) ও সয়া ? সত্যিই তো ঘোগ, পড়েচে । এটাকে বন্দ করেচি, এইবার ছেচোত ? শিব । (স্বগত) হুঃ, একে "চ্ছেতে পারি নেই, তাতে আবার যোগ পাচ প্রকারে আজ মারা গেলেম দেখচি । ( পুনঃর্বর কিয়ৎক্ষণ সেচন করিয়া উভয় হস্ত কটিদেশে অর্পণ