পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৰ্ব্বল্বোক্ষরলবণমশ্নীয়াং তদনুজ্ঞয় । পৰ্ব্বতোপস্করান সৰ্ব্বান প্রাপয়েদব্ৰহ্মণালয়ম | ঈশ্বর উবাচ । আসীৎ পুর। বৃহৎকল্পে ধৰ্ম্মমুত্তির্জনাধিপঃ । স্বহৃচ্ছক্রস্ত নিহত যেন দৈত্যাঃ সহস্রশঃ ॥১৭ Lসামস্থৰ্য্যাদয়ে যন্ত তেজসা বিগত প্রভাঃ । ভবন্তি শতশো যেন শত্রবশচী পরাজিতাঃ । যথেচ্ছ রূপধারী চ মমুষ্যে,হপjপ্ল রাজিত: | ১৮ তস্য ভানুমতী নাম ভধ ত্ৰৈলোক্যমুন্দরী লক্ষ্মীবদিব্যরূপেণ নিৰ্জ্জতামরসুন্দরী ॥ ১৯ রাজ্ঞস্তম্ভাগ্রামহিষী প্ৰণেভ্যোহপি গরীয়সী। দশনারীসহস্ৰাণাং মধ্যে শ্রীরিব রাজতে ॥২ নৃপকোটিসহশ্ৰেণ ন কদাচিৎ সমুচ্যতে । কদাচিদশস্থানগতঃ পপ্রচ্ছ স পুরোধসমূ । যথাশক্তি অমৎসরচিত্তে ব্রাহ্মণ ভোজন করাইবে । পরে ব্রাহ্মণের অনুজ্ঞানুসারে অক্ষার বণ ভোজন করা কৰ্ত্তব্য । যাবতীয় উপচার দ্রব্য ব্রাহ্মণভবনে প্রেরণ করিবে । ১—১৬। ঈশ্বর কহিলেন,—পূর্ববকালে ব্রহ্ম-কল্পে ধৰ্ম্মরমূৰ্ত্তি নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি শুক্রাচার্য্যের সুহৃৎ ছিলেন ; পরন্তু শতসহস্ৰ দানব তাহার হস্তে নিহত হইয়াছিল। তাহার তেজঃপ্রভাবে সোম স্থৰ্য্যাদি তেজস্বী দেবগণ ও হীন প্রভ হইয়া পড়িয়ছিলেন । শকদল তাহার নিকট শত শত বার পরাজিত হইয়াছিল। তিনি যথেচ্ছ রূপ ধারণ করিতে পারিতেন । এই জন্ত তিনি মনুষ্য হুইলেও অপরাজিত ছিলেন । র্তাহার ভাৰ্য্যা ভামুমতী ; তিনি ত্ৰৈলোক্যমধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী ছিলেন ;–যেন সাক্ষাৎ লক্ষ্মী । অমরসুন্দরীরাও র্তাহার রূপে পরাজিত ছিলেন । তিনিই রাজার প্রধান এবং প্রাণীপেক্ষাও প্রিয়তমা মহিষী ছিলেন। দশসহস্ৰ মহিষী মধ্যে তিনি শ্ৰীসম শোভা পাইতেন। সেই রাজারও সহস্রকোটি নৃপতিমধ্যে তুলন। হুইত না।১৭–২• । একদা মৎস্তপুরাণম্। বিস্ময়েনাবৃতো রাজা বসিষ্টমৃষিসত্তমম্।। ২১ রাজেণবাচ । ভগবন কেন ধৰ্ম্মেণ মম লক্ষ্মীরস্থত্তম । কস্মাচ্চ বিপুলং তেজো মছরীরে সদোত্তমম্ বসিষ্ঠ উবাচ। পুরা লীলাবতী নাম বেগুণ শিবপরায়ণ । তয় দত্তশ্চতুৰ্দ্দশুং গুরবে লবণাচল । হেমবৃক্ষাদিভিঃ সাৰ্দ্ধং যথাবন্ধিধিপূৰ্ব্বকম ॥ ২৩ শূদ্রঃ সুবর্ণকারশচ নাম শৌগুেtহভবৎ তদা । ভূত্যে লীলাবতীগেহে তেন হেমু বিনিৰ্ম্মিতাঃ তরব; সুরমুখ্যাশ্চ শ্রদ্ধাযুক্তেন পার্থিব । অতিরূপেণ সম্পন্ন ঘটায়ত্ব বিনা ভূতিম্। ধৰ্ম্মকার্য্যমিতি জ্ঞাত্বা ন গৃহতি কথঞ্চন ॥ ২৫ উজ্জ্বলিতাশ্চ তৎপত্ন্যা সৌবর্ণমরপ{লপাঃ । লীলাবতী গিরেঃ পাশ্বে পরিচর্য্যাঞ্চ পার্থিব ॥২৬ সেই রাজা সভামধ্যে বিস্ময়াবিষ্টচিত্তে নিজ পুরোহিত ঋষিসত্তম বশিষ্ঠকে জিজ্ঞাসা করিলেন,—ভগবন ! কোন ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম করলে আমার অনুত্তম লক্ষ্মী এবং মদীয় দেহে সতত উত্তম বিপুল তেজোলাভ হইতে পারে ? বশিষ্ঠ কহিলেন,—পুরাকালে লীলাবতী নামে এক বেশু ছিল । সে তদীয় চতুর্দশী তিথিতে শুরুকে বিশুদ্ধ লবণাচল দান করিয়াছিল । সে, ঐ কৰ্ম্ম, হেমবৃক্ষণদি সহ যথাবিধিই করিয়াছিল । হে পার্থিব ! লীলাবতীর গৃহে তখন শৌণ্ড নামে একশূদ্র সুবর্ণীকার তৃত্য ছিল ; সে “ইহা ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম এই ভাবিয়া বিশুদ্ধ স্বর্ণ দ্বারা অতি যত্বে পারিশ্রমিক না লইয়া অতীব সুন্দরাকার তরু ও সুরবরগণের মূৰ্ত্তিসকল নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল । তাহার পত্নী সুবর্ণরচিত অমর তরুগুলি উজ্জ্বলিত করিয়াছিল । হে রাজন ! লীলাবতী লবণাচলের সন্নিধানে থাকিয়াসেই স্বর্ণকার ও তৎপত্নীসহ অকপট ভাবেই গুরুশুশ্রুষাদি সকল কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহ করিয়াছিল । দীর্ঘকালাস্তে