পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৪৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টচত্বারিংশদধিকশততমোছধ্যায়ঃ । Eকিন্তু নাতপসা মুক্তে মস্তেহহং সুরসঙ্গমস্ । অহমাদেী করিষ্যামি তপে ঘোরং দিতেঃ স্বতাঃ ততঃ সু রান বিজেষ্যামো ভোক্ষ্যামোহথ জগভ্ৰয়ম্ম । স্থিরোপায়ে হি পুরুষঃ স্থিরত্রীরপি জায়তে ॥৫ রঙ্কিতুং নৈব শক্লোতি চপলশ্চপলাঃ শ্ৰিয়ঃ। তদ্ভূত্বা দানবা সৰ্ব্বে বাক্যং তস্যামুরস্য তু ॥৬ সাধু সাধিবত্য বেচিংস্তে তত্র দৈত্যাঃ সবিস্ময়t: সোহগচ্ছৎ পরিযাত্রস্ত গিয়েঃ কন্দরমুত্তমম | সৰ্ব্বভুকুমুমকীর্ণং নানৌষধিবিদ্যপিতম্। নানধাতুরসম্রাবচিত্ৰং নানাগুহাগৃহম ॥৮ গহনৈঃ সৰ্ব্বতে গঢ়ং চিত্রকল্পক্রমাশয়ম । অনেকাকারবহুলং পৃথকৃপক্ষিকুলাকুলম ॥ ৯ নানাপ্রস্রবণোপেতং নানাবিধজলাশয়ম্। প্রাপ্য তৎকন্দরংদৈত্যশ্চচার বিপুলং তপ: ॥১০ স্বীয় বাহুবল আশ্রয় করিয়া সুরগণের নিগ্রহের জন্ত নিশ্চয়ই যুদ্ধযাত্রা করিব । কিন্তু আমি মনে করি, তপস্যা না করিয়া স্বরগণের সহিত সঙ্ঘর্ষ করা যুক্তিযুক্ত নহে । অতএব হে দৈত্যগণ ! আমি অগ্রে ঘোর তপস্যা করি। পরে স্বরগণকে জয় করিব এবং এই জগত্ৰয় ভোগ করিব । একথা সঙ্গতই বটে যে, পুরুষ যদি অগ্ৰে উপায় স্থির করিয়া লয়, তাহা হইলেই পরে সে স্থির লক্ষ্মী লাভ করিতে পারে । চপল ব্যক্তি কদাচ চঞ্চল শ্রীকে রক্ষা করিতে পারে না । তারকামর এই কথা কহিলে তখন দানবেরা সকলেই তৎশ্রবণে সবিস্ময়ে সাধু সাধু বলিয়া প্রশংসা করিল। অনন্তর তারকাসুর সৰ্ব্ব ঋতুজাত কুসুম-সমাকীর্ণ বিবিধ ওষধি-রাজিত পরিযাত্র গিরির উত্তম কন্দরে গমন করিল। ঐ কন্দর নানাবিধ গুহাগৃহে সমাকুল ও বিবিধ ধাতুরসম্রাবে চিত্রিত ; উহাতে বিচিত্র কল্পক্রম সকল সুশোভিত ; উছা গভীর অরণ্যে পরিবৃত, নানাকারে বিস্তৃত, মানাজাতীয় বিহঙ্গমকুলে সমাকীর্ণ, নানা প্রস্রবণে অতি HOA নিয়াহার: পঞ্চতপঃ পত্ৰভুগৃবারিভোজনঃ । শতং শতং সমানাত্ত তপাংস্তেতানি সেহুিকরোৎ | ১১ ততঃ স্বদেহছিৎকৃত্য কৰ্ষং কৰ্ষং দিনে দিনে । মাংসস্তাগ্নৌ জুহাবাসে ততো নিৰ্ম্মাংসতাংগতঃ তস্মিন নিৰ্ম্মাংসতাং যাতে তপোরাশিত্বমাগতে জজলুঃ সৰ্ব্বভূতানি তেজসা তস্ত সৰ্ব্বত: । ১৩ উদ্বিগ্নশ্চ সুরা: সৰ্ব্বে তপস তস্য ভীষিতাঃ। এতস্মিমন্তরে ব্ৰহ্মা পরমং তেষমাগতঃ ॥১৪ তারকস্ত বরং দাতুং জগাম ত্ৰিদশালস্থাৎ ৷ প্রাপ্য তং শৈলরাজানং স গিয়েঃ কন্দরস্থিতম্ উবাচ তারকং দেবো গিরা মধুরয়া যুতঃ ॥১৫ ব্ৰহ্মেণবাচ । পুত্ৰীলং তপস তেইভ নাস্ত্যসাধ্যং তৰাখুন। বরং বৃণীষ রুচিরং যৎ তে মনসি বৰ্ত্ততে ॥১৬ এবং বহুবিধ জলাশয়ে সমুদ্ভাসিত । দৈত্য তারক ঈদৃশ কন্দর প্রাপ্ত হুইয়া বিপুল । তপস্যাচরণ করিতে লাগিল । কথন নিরাহারে থাকিয়া, কখন পঞ্চতপা করিয়া, কখন বা পত্র বা বারি মাত্র ভক্ষণ করিয়া, শত শত বৎসর তারকাসুর তপস্যা করিল a অনস্তর দিন দিন স্বীয় দেহু হইতে এক এক কর্ষ-পরিমিত মাংস উৎকর্জিত করিয়া অগ্নিতে আহুতি, প্রদান করিতে লাগিল । এইরূপে ক্রমে তাহার দেহ মাংসহীন হইয়া পড়িল । ১ —১২। তারক নিৰ্ম্মাংস হইলে তাহার তপস্তা, রাশি রাশি সঞ্চিত হইল। তখন তাহার তপঃপ্রভাবে সর্ববপ্রাণী সৰ্ব্বথা প্ৰজলিত হইতে লাগিল । তদীয় তপস্থতায় । ভীত হইয়া সকলেই সমুদ্বথ হইয়া পড়িলেন । এই সময় ব্ৰহ্মা পরম পারতুষ্ট হইলেন। তিনি তারকামুরকে বরদান কারৰার জঙ্গ দেবলোক ইহতে যাত্র করিলেন । অনস্তর সেই শৈলবরে উপস্থিত হইয়া ব্ৰহ্মা সেই গিরিকদেরস্থ তারকাসুরকে মধুর বাক্যে বললেন-হে পুত্র ! তোমার আর তপস্তার প্রয়োজন নাই। এখন তোমার অসাধ্য কিছুই