পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুfবর-যন্ত্র । >} পিনাকে একটা মাত্র তার সমাবেশিত থাকিত এবং তাহাতে কোন সারিকা-বিন্যাস ছিল না, স্বতরাং ইহার নিৰ্ম্মাণে কৌশলের অতি অল্প মাত্রই প্রয়োজন হইয়াছিল। কিন্তু প্রথম ফুৎকার যন্ত্র যখন নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তখন নিশ্চয়ই মানবের সেরূপ অবস্থা ছিল না। কারণ তাহার নিৰ্ম্মাণ সমধিক জটিল ও কষ্টসাধ্য। ফুৎকারযন্ত্রে যে সকল ছিদ্র-বিন্যাস করা হয়, তাহাদের পরিমাণ সমান নহে—পরস্পরের দূরত্ব সমান নহে—তাহাদের প্রত্যেকের ব্যাসও সমান নহে, বিভিন্ন স্বরের জন্য তাহদের বৈচিত্র্য সম্পাদিত হইয়া থাকে, সুতরাং সে সকল যখন স্বচারুরূপে সম্পাদিত হইয়াছিল তখন নিশ্চয়ই মনুষ্যের বুদ্ধিবৃত্তি সমধিক পরিমার্জিত ও দর্শনশক্তি সমধিক প্রোজ্জ্বল হইয়াছিল। বিশেষতঃ কথিত আছে,দ্বাপরযুগে কৃষ্ণাবতারে বংশীর প্রথম স্বষ্টি হয়। বংশী বদনের নিয়মাবলী দ্বাপরযুগের পূর্বে যে কেহ জানিত ইহা কোন গ্রন্থে লক্ষিত হয় না, কিন্তু দেবাদিদেব মহাদেব দ্বাপরের অনন্তকাল পূর্বে সত্যযুগে পিনাকযন্ত্র ব্যবহার করিতেন ; ইহার প্রমাণ নানা সংস্কৃত পুরাণে লক্ষিত হয়। এরূপ উন্নতি কালসাপেক্ষ, সুতরাং ততযন্ত্র যে ফুৎকার যন্ত্রের পূর্বে হইয়াছে তদ্বিষয়ে আর অণুমাত্র ও সন্দেহ নাই। কোন কোন ইতিহাসলেখক উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন যে, ততযন্ত্রের পূর্বেও দুই একটা ফুৎকারযন্ত্রের প্রচলন ছিল । র্তাহীদের এ কথা কোন মতেই সত্য বলিয়া প্রতিপন্ন হইতে পারে না। কারণ, তাহারা যাহাদিগকে ফুৎকার যন্ত্র বলতেন তাহারা প্রকৃতকল্পে যন্ত্র নহে—বুদ্ধি