পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

**, যন্ত্রকোষ । কৌশল তাহাতে অণুমাত্রও বিনিযোজিত হয় নাই। যেহেতু তাহারা প্রকৃতিসদ্ভূত, যেমন শখ ও শৃঙ্গ। এই দুইটাকেই পুরাবিদগণ আদি ফুৎকারযন্ত্র বলিয়া বর্ণনা করিয়া থাকেন। ততযন্ত্র সমূহের সম্পূর্ণ পরিপুষ্টি ও বহুল প্রচার যখন না | হইয়াছিল, তখন এরূপ দুই একটর প্রচলন অসম্ভব বলিয়া বোধ না হইলেও হইতে পারে, কিন্তু যখন শুমির “যন্ত্র’ এই উন্নত সংজ্ঞা প্রাপ্ত হইয়া যন্ত্ৰ সকলের মধ্যে পরিগণিত | হইতে আরম্ভ হইল, যখন তন্নিৰ্ম্মাণে মনুয্যের বুদ্ধিবৃত্তি । পরিচালনের আবশ্বক হইল, তখন প্রথমে ফুৎকার-প্রয়োগ বৈচিত্রে শঙ্খ ও শৃঙ্গে দুই চারিট মাত্র স্বর নিনাদিত হইত, কিন্তু পরে যখন বিবিধ স্বর-বিভ্রম—বিবিধ-রাগ-বিলসিত প্রদ| শন করিবার ইচ্ছা বলবতী হইল, তখন আর প্রকৃতি-সুলভ শঙ্খ বা শৃঙ্গে সঙ্গীত কুতূহলী মানবের তৃপ্তি সংসাধিত হইল না। তখন হইতেই ফুৎকার যন্ত্রের প্রথম স্বষ্টি আরম্ভ হইল। প্রথমে এক নল যন্ত্র স্বস্ট হয়, পরে তাহার অঙ্গভেদে, রচনা ভেদে, বিবিধ অভিপ্রায় সংসাধনের নিমিত্ত বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন প্রকারে ও বিভিন্ন নামে প্রচারিত হয়। পরিশেষে দ্বিনল যন্ত্রও স্বস্ট হইয়াছে। এক নল যন্ত্রে প্রথমে দুইটা মাত্র ছিদ্র বিন্যস্ত করা হইত, সেরূপ একটী কর্দমবিনিৰ্ম্মিত যন্ত্র ব্যাবিলনের দগ্ধাবশেষ হইতে আনিয়া কাপ্তেন উইলক্‌ রএল আসিয়াটিক সোসাইটাতে উপঢৌকন প্রদান করেন। তাহাকেই এখন সকলেই ফুৎকার যন্ত্রের আদি বলিয়া থাকেন। কিন্তু অতি পূর্বকাল হইতেই আমাদের দেশেও