পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|- শুfষর-যন্ত্রের উৎপত্তি । - సిరి উক্তবিধ যন্ত্র প্রচলিত ছিল। কিন্তু এ উভয়ের মধ্যে কোনটী যে অগ্রিম, আমরা তাহার নিশ্চয়াবধারণ করিতে সমর্থ নহি। তবে ইহা যে পূর্বাঞ্চল হইতেই প্রথমে উৎপন্ন হয় তাহ সকলেই একবাক্য হইয়া স্বীকার করিয়া থাকেন, দ্বিনল যন্ত্রও এই পূৰ্ব্বাঞ্চলেই প্রথমে প্রচলিত হইয়াছে। কেহ বলেন ইহা মিসরের, কেহ বলেন ইহা ভারতের—মিসরে ইহার নাম “আগুল ভারতে ইহার নাম “পূগী” । কিন্তু এ উভয়ের মধ্যে কোনটী যে অগ্রের অদ্যাপিও তাহার কোন নির্ণয় করিতে পারা যায় নাই। উভয়েই দেবতাদিগের উপাসনার সময় ব্যবহৃত ও পুরোহিতদ্বারাই বাদিত হইত। কিন্তু প্রভেদ এই যে, ভারতে নাসিকাদ্বারাই নিনাদিত হইত, এখনও হইতেছে ; কারণ তখন এই সংস্কার ছিল যে, যে যন্ত্র অপর সাধারণ লোকের মুখে বাজাইত, তাহা . পূজ্যপদব্রাহ্মণদ্বারা সেরূপে ব্যবহৃত হইত না, ব্রাহ্মশেরা সেই জন্য তাহ নাসিকায়ই বাজাইতেন, মুখদ্ধারা উচ্ছিষ্ট করিতেন না । কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য ! সোসাইট দ্বীপে ও ফিজি আইলণ্ডেও ইহা নাসিকায় বাদিত হইত, ভারতের এপ্রথা যে কিরূপে উক্ত দূরবর্তী দ্বীপে প্রচলিত হইয়াছে তাহা বলা যায় না । যে সমস্ত যন্ত্রে একনল, দ্বিনল ও তাহাদের বিভিন্ন প্রকার-ভেদ এই পৃথিবীতে প্রচলিত আছে, প্রায় তাহার সমুদয়ই ভারতে অতি প্রাচীন কাল হইতেই লব্ধপ্রসর হইয়া আসিতেছে—এ সকল সম্বন্ধে সম্মান সম্পর্কে অন্যান্য দেশপ্রতিদ্বন্দ্ব স্বরূপ হইয়াছে—বস্তুতঃ প্রকৃত ইতি