পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| হিন্দু-ঐকতান-বাদন। SY(I ৭। গোশূঙ্গাকৃতি পিত্তলের শিং (S") অর্থাৎ শৃঙ্গ যন্ত্র । ৮ । তিন যোড়া সাজ (Sanj ) অর্থাৎ বৃহৎ করতাল। পূর্বে রজনী আগমনের চারি ঘড়ির (ঘটিকার ) পূর্বে ঐকতান বাদিত হইত এবং প্রভাত হইবার চারি ঘড়ির পূর্বেও সেইরূপ বাজিত। কিন্তু আকবরের সময়ে সেরূপ না হইয়া দ্বিপ্রহর রাত্রিতে প্রথমবার এবং প্রাতঃকালে দ্বিতীয় বার বাদিত হইত। সূর্য্যোদয়ের এক ঘড়ি পূর্বে বাদকের সর্ণ বাজাইয়া নিদ্রিত ব্যক্তিদিগকে জাগাইত এবং ভানুদ্বয়ের এক ঘড়ি পরে তাহার নাগার যন্ত্র ব্যতীত কুবৰ্গ, করণ, নাফির এবং অপরাপর যন্ত্রসংযোগে মঙ্গলাচরণিক ঐকতান বাদন করিত। তদনন্তর কিয়ংকাল বিশ্রাম করিয়া পুনর্বার সর্ণ বাজাইত। এক ঘণ্টার পর নাগার বাদ্য আরম্ভ হইত, এবং সেই সঙ্গে বাদাহের মঙ্গলসূচক অন্যান্য সমুদয় যন্ত্রগুলি বাদিত হইত। আকবর শাহের সময় ঐকতান বাদন মুসলি, ইখলাতি, খোয়ারিজুমাইত প্রভৃতি সাত প্রকারের ছিল। আকবর শাহ অত্যন্ত সঙ্গীত প্রিয় ছিলেন, বিশেষতঃ উল্লিখিত ঐকতান বাদনে তাহার আন্তরিক অনুরাগ দৃষ্ট হইত। তিনি স্বয়ং ঐকতান-বাদনের উন্নতির জন্য খোয়ারিজুমাইত স্বরে দুই শতাধিক গৎ প্রস্তুত করিয়াছিলেন। আকবর শাহের নিকট অনেক ভাল ভাল সঙ্গীতজ্ঞ ব্যক্তি পরাজয় স্বীকার করিতেন, | বিশেষতঃ নাগার বাদনক্রিয়ায় তিনি সাতিশয় বিচক্ষণ ছিলেন। " |