পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

যন্ত্রকোষ।

 এই বিস্তীর্ণ ভারতবর্ষে পূর্ব্বকালাবধি নানাবিধ বাদ্য-যন্ত্রের প্রচলন আছে, অপর কতকগুলি, সঙ্গীত কুতুহলী মহাত্মাদের উৎসাহে অধুনা সৃষ্ট হইয়া আসিতেছে। হিন্দুরা ঐ যন্ত্র-সমূহকে প্রধান চারিভাগে বিভক্ত করিয়া থাকেন[১] যথা—তত অর্থাৎ যে সকল যন্ত্র তন্তু বা তারসংযোগে বাদিত হয়, যেমন বীণা, সেতার, রবাব, সরোদ, দেওড়া[২] সারঙ্গী, রঞ্জনী, সারিন্দা, তম্বুরা, মীনসারঙ্গী, কানুন, সুরশৃঙ্গার, মোচঙ্গ, একতারা, অলাবুসারঙ্গী, আনন্দলহরী, স্বরবীণা, গোপীযন্ত্র, এসরার্‌ ইত্যাদি। শুষির অর্থাৎ যে সমস্ত যন্ত্র বায়ুদ্বারা বাদিত হয়, যথা শঙ্খ, বংশী, বেণু, বুক্কা, আলগোজা, গোমুখ, লয়বাঁশী, রৌসনচৌকি, সানেয়ী বা সানাই, শৃঙ্গ, রণশৃঙ্গ, তুরি, কলম, তুব্‌ড়ি ইত্যাদি। পূর্বে ভারতবর্ষে নাগবদ্ধ নামে এক

  1. ততানহঞ্চ শুষিরং ঘনমিতি চতুর্ব্বিবং।
    ততং বীণাদিকং বাদ্যমানন্ধং মুরজাদিকং॥
    বংশ্যাদিকন্তু শুষিরং কাংস্যতালাদিকং ঘনং॥
     ইতি দামোদরে।

  2. এই যন্ত্রটীকে আশামীভাষায় খুটাতালী কহে।