প্রকার শুষির যন্ত্র ছিল, স্কটীস্ ব্যাগ্পাইপ তাহার অনুকৃত। আনদ্ধ অথবা বিতত অর্থাৎ যে সকল যন্ত্র চর্ম্মাচ্ছাদিত হইয়া বাদিত হয়, যেমন মৃদঙ্গ, খোল, তব্লা, ঢোলক, ঢোল, মর্দ্দল, খঞ্জনী, ঘুট্রু, ডম্ফ, ডমরু, হুড়কা, ঢক্কা, জগঝম্প, চর্চ্চরী, দারা, কাড়া, নাগরা,[১] টিকারা, ধামসা, খোরদক ইত্যাদি। ঘন অর্থাৎ লৌহ বা কাংস্য ইত্যাদিধাতুনির্ম্মিত যন্ত্র সমূহ, যেমন ঘণ্টা, ঝাঁঝর, কাঁসর, কাঁসি, খটতালী, খরতাল, মন্দিরা, সপ্তশরাব বা জলতরঙ্গ, ঘড়ী, রামখরতালপ্রভৃতি, এতদ্ব্যতীত ভারতবর্ষে আরও বহুবিধ যন্ত্র ছিল, সে সকলের এক্ষণে বড় প্রচলন নাই।
কথিত চতুর্বিধ যন্ত্রের মধ্যে তত যন্ত্র দুই ভাগে বিভক্ত, যথা—সভ্য ও গ্রাম্য, তদ্ভিন্ন ত্রিবিধ যন্ত্র প্রত্যেকই আবার তিন ভাগে বিভক্ত হইয়া থাকে, যথা—সভ্যযন্ত্র[২], বাহির্দ্বারিক যন্ত্র[৩] এবং গ্রাম্যযন্ত্র[৪]। সভাতে যে সকল যন্ত্র সর্ব্বদা বাদিত হয়, সে সকলের নাম সভ্যযন্ত্র। সভ্যযন্ত্র আবার দুইভাগে বিভক্ত, যথা—স্বতঃসিদ্ধ[৫] এবং অনুগতসিদ্ধ[৬]; যে সকল যন্ত্র গীত অথবা অন্য কোন যন্ত্রের অননুগত হইয়া বাজে, সে