পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
১৮
যন্ত্রকোষ।

প্রচলিত হইয়াছে। কচ্ছপী বীণার খোল কচ্ছপের পৃষ্ঠের ন্যায় চেপ্‌টা বলিয়াই ইহাকে কচ্ছপী বা কূৰ্ম্মী বীণা বলে। কচ্ছপীর দৈর্ঘ্য সচরাচর প্রায় চারি ফুটই হইয়া থাকে। তবে বাদকগণ স্বেচ্ছানুসারে ইহার ন্যূনাতিরেকও করিয়া থাকেন, কিন্তু রাগ বাজাইবার কচ্ছপী আকারে অপেক্ষাকৃত কিঞ্চিৎ বৃহৎ হওয়া নিতান্ত আবশ্যক, তাহা না হইলে আলাপের সময় মূর্চ্ছনা-কৌশল সুন্দর রূপে প্রদর্শিত হইতে পারে না। কচ্ছপীর দৈর্ঘ্য চারিফুট হইলে তাহার পন্থী হইতে পাঁচ ইঞ্চ ঊর্দ্ধে তন্ত্রাসন এবং তিনফুট পাঁচ ইঞ্চ ঊৰ্দ্ধে আড়ি সন্নিবেশিত করা কর্ত্তব্য। পরিমাণে চারি ফুটের ন্যূনাধিক হইলে ইহারই সমানুপাত অনুসারে তন্ত্রাসন ও আড়ি স্থাপিত করিতে হইবে। শাস্ত্রকারেরা কচ্ছপী বীণাকেই বাগ্‌দেবী সরস্বতীর হাতের যন্ত্র বলিয়া ব্যাখ্যা করেন; আমাদিগের বর্ণ্যমান কচ্ছপী বীণাটীতে যে সাতটী তার আবদ্ধ আছে, তন্মধ্যে চারিটী লৌহের এবং তিনটী পিত্তলের। যথা—