পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
রুদ্রবীণা।
২৭

 রবাবযন্ত্রে সারিকাবিন্যাস থাকে না, যন্ত্রটী স্কন্ধে স্থাপনপূর্ব্বক বামহস্তের কেবল তর্জ্জনীতে মৎস্যের একখানি মোটা শল্ক অর্থাৎ আঁইস এক গাছি সূত্রদ্বারা বন্ধন করিয়া তৎসহকরে তারের উপরে উপরে স্বরস্থানে ঘর্ষণ এবং দক্ষিণহস্তের তর্জ্জনী ও বৃদ্ধাঙ্গুলির টীপযোগে চন্দনকাষ্ঠের বা বংশনিৰ্ম্মিত একটা কোণস্ (অর্থাৎ ত্রিভুজাকৃতি একখণ্ড ক্ষুদ্র ফলক, পারস্য ভাষায় ইহাকে জওয়া বলে) ধারণ করিয়া তাহার আঘাতযোগে বাজাইতে হয়। ইহার আঘাত গুলি কোলের দিকে না হইয়া তদ্বিপরীত দিকেই হইয়া থাকে, অর্থাৎ কেবল উল্টা আঘাতদ্বারাই ইহার বাদনক্রিয়া নিষ্পন্ন করিতে হয়। রবাবযন্ত্রের এইটী বিশেষ নিয়ম। বীণাজাতীয় অন্যান্য হিন্দু যন্ত্রের ন্যায় রবাবেও সাৰ্দ্ধদ্বিসপ্তক স্বর সুন্দররূপে প্রতিপন্ন হইয়া থাকে। রবাবের যে যে তন্তু হইতে যে যে স্বর নির্গত হয়, তাহা নিম্নে প্রদর্শিত হইতেছে। যথা—

 রবাবের ছয়টী তন্তুই নিয়মিতরূপে বাজিয়া থাকে। পশ্চিম হিন্দুস্থানের রামপুরপ্রভৃতি অঞ্চলে ইহার বহুলপ্রচার দেখিতে পাওয়া যায়। আফ্‌গানস্থান ও পারস্যপ্রভৃতি দেশেও এই যন্ত্রটী রবাব নামেই প্রসিদ্ধ। আরবীয়েরা ইহাকে “রুবেব্‌” বলিয়া ব্যবহার করে। প্রসিদ্ধ আরবীয় শব্দশাস্ত্র-বেত্তা ফিরোজ বাদী মজদ্‌অল্‌দীন তাঁহার বিখ্যাত