অভিধান গ্রন্থে (কামুস্) লিখিয়াছেন যে, প্রায় সত সহস্ৰ বৎসর অতীত হইল বসুদ্ গ্রাম-নিবাসী সঙ্গীত কুশলী আব্দুলা এই যন্ত্রের প্রথম সৃষ্টি করিয়া “রুবেব” এই নামকরণ করেন। উইলার্ড সাহেব বলেন, স্পেনিস্ গীটারের অবয়বের সহিত রবাবের অনেকাংশে সমতা আছে। ইউরোপীয় ম্যাণ্ডলিন্ প্রভৃতি প্রাচীন যন্ত্রসমুদয়ের সহিত ঐক্য করিয়া দেখিলে ইহার অবয়বের অনেক সৌসাদৃশ্য দেখা যায়, বোধ হয় রুদ্র-বীণাই স্পেনিস্ গীটার ও ম্যাণ্ডলিন্ প্রভৃতি যন্ত্রের আদর্শ; যেহেতু রুদ্র-বীণা ইউরোপীয় উক্ত যন্ত্রসমূহ অপেক্ষা অনেক প্রাচীন।
শারদীয়-বীণার দণ্ড হইতে খোল পর্য্যন্ত প্রায় সমুদায় অবয়বটী একখানি অখণ্ড কাষ্ঠদ্বারা প্রস্তুত হইয়া থাকে, খোলটী আবার রবাবের মত গোধাদির চর্ম্মদ্বারা আচ্ছাদিত। এই যন্ত্রেও রুদ্র-বীণার ন্যায় সারিকাবিন্যাস থাকে না এবং ইহাতে ছয়টী কীলকে বা কাণে ছয়গাছি তন্তু যথারীতি
- ↑ এই শব্দে পারস্য ভাষার গান করা বুঝায়।