পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যে যাবতীয় ধনুস্ততযন্ত্র ইউরোপ হইতে প্রথমে উৎপন্ন হইয়। আসিয়ার অন্যান্য দেশে নীত হইয়াছে । তিনি বলেন ধনুত্ততযন্ত্র প্রথমতঃ ইটালী হইতে উৎপন্ন হটয়া গ্রীসে ও তথা হইতে আসিয়ামাইনরে এবং অবশেষে পারস্য ও আরব দেশে কেমান গো এরাউসি নামে প্রচলিত হয়। কিন্তু আবার | ইউরোপীয় ধৰ্ম্মার্থযুদ্ধযাত্ৰীগণ যখন জেরুজেলম হইতে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন তখন র্তাহাদের সঙ্গে সেই যন্ত্রকে আবার স্বদেশে লইয়া যান। কিন্তু ভারতবর্ষীয় রাবণাস্ত্রই উপরিউক্ত যাবতীয় | যন্ত্রের মূল তাহা তিনিই আবার তাহার তৎপরকৃত গ্রন্থে স্পষ্ট ক্ষরে স্বীকার করিয়া গিয়াছেন। তিনি বলেন “ যে সময়ে আমি ওরূপ লিখিয়ছিলাম তখন আমি পূর্বাঞ্চলীয় সঙ্গীত সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ ছিলাম, ক্রমাগত অনুসন্ধানের পর অবশেসে এই সত্যটা জানিতে পারিয়াছি যে, পূর্বাঞ্চল হইতে আসে নাই এমন কিছুই এই পশ্চিমাঞ্চলে নাই। এখন আমি মুক্তকণ্ঠে বলিতে পারি, যে ভারতবর্ষ সৰ্ব্বাঙ্গসম্পন্নভাসার (সংস্কৃত ভাষার ), উচ্চ সোপানধিরূঢ় সভ্যতার, মানবমনের বিবিধচিন্তা ও ভাবপরম্পরার প্রকাশক দর্শনশাস্ত্রের, সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর কবিত্বের এবং তত্ৰত্য অধিবাসীদিগের প্রধানতম আমোদপ্রদ সঙ্গীতের প্রাচীনতম চিহ্ন সমূহ প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করিতেছি, সেই ভারতবর্ষ যাবতীয় ধনস্ততমন্ত্রের आ।ि জন্মস্থান এবং তথা হইতে আসিয়ার অন্যান্য স্থলে সেই সকল যন্ত্র পরিচিত হইয়াছে। অনেক যন্ত্র আছে দেখিলে নিশ্চয় ৈ তাহাদিগকে ভারতবর্ষীয় বলিয়া বোধ হয়। ইহাতে অণু |