পাতা:যন্ত্রকোষ.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুরলী। ዓ¢ থাকে, ইহারা শূন্যগর্ভ। ইহাদের দুই সীমা, শিরোদেশ ও অধোদেশ, শিরোদেশ প্রায় বদ্ধ এবং অধোদেশ মুক্ত থাকে। ইহারা দৈর্ঘ্যে আট নয় অঙ্গুলি হইতে একহাত | 8 ততোধিকও হইতে পারে। যে বংশী মুরলী-পদ-বাচ্য তাহার বিষয় প্রথমে বিবৃত হইতেছে । মুরলী । ইহা নলাকার, বর্তুল ও সরল। ইহার দৈর্ঘ্য নানাপ্রকার হয়, কিন্তু সচরাচর একহস্ত পরিমিতই দেখিতে পাওয়া যায়। শিরোভাগের তিন অঙ্গুলি পরিমিত নিম্নদেশে একটা ছিদ্র থাকে তাহার নাম ফুৎকার রন্ধ, ঐ রন্ধের প্রায় চারি অঙ্গলি (কখন কখন তাহারও) নিম্নে ছয়ট ছিদ্র থাকে, ইহাদিগের সাধারণ নাম তাররন্ধ। পূর্বে ফুটের ন্যায় ইহার দুই পার্শ্বে বন্ধন (Key) থাকিত, কিন্তু এখন তাহার আর বড় ব্যবহার নাই, শ্ৰীকৃষ্ণের প্রতিমায় যেরূপে মুরলী দেওয়া যায় সেই রূপে—ইহা তিৰ্য্যগ ভাবে দুই হস্ত দ্বারাই ধৃত হইয়া থাকে। প্রথম শিক্ষার্থীদিগের সরলভাবে দাড়াইয় মস্তক উন্নত, বাম স্কন্ধের দিকে ঈষৎ অবনমিত করিয়া ও কোমলভাবে রাখিয়া বক্ষঃস্থল বিস্তীর্ণ করত অভ্যাস আরম্ভ করার বিধি দেখা যায়। মুরলী উভয় হস্তের বৃদ্ধাসুলির মধ্যভাগে টিপ দিয়া ধরিয়া বাম হস্তের তর্জনী, মধ্যম ও অনামিক এই তিনটা অঙ্গুলি মুরলীর শিরোদেশ ভাগের তিনটা ছিদ্রের মুখে এবং দক্ষিণ হস্তের ঐ তিনটা অঙ্গুলি