পাতা:যন্ত্রোদ্ধৃত-জল-শুদ্ধি.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'( । रा १ ?’ লিখিত আছে, পশুপক্ষ্যাদি বিবিধ দেহ ভোগ করিয়া শেষে জীবের মন্থৰ্য । দেহ প্রাপ্তি হয় ; আর যেহেতু সেই মনুষ্যদেহের মধ্যে ব্রাহ্মণদেহ সৰ্ব্বশ্ৰেষ্ঠ, অতএব মনুষ্যজন্মেও স্বকৃতিফলে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণদেহ প্রাপ্তি হয় । এই উত্তরোত্তর উন্নতির নিয়মদর্শনে পশুদেহ অপেক্ষা মনুষ্যদেহেল যে অধিক শুদ্ধি, ইহা শাস্ত্রে ও যুক্তিতে বিলক্ষণ প্রতিপন্ন হইতেছে । এতাবতী, মনুষ্য অপেক্ষা সমধিক অপকৃষ্ট কুক্করের উচ্ছিষ্ট মহাপ্রসাদ যদি মুক্তিকর হইতে পারিল, তবে মনুষ্যের মধ্যে নীচ মনুষ্য ম্লেচ্ছাদির করম্পর্শ মাত্রেই যে সেই পরমপবিত্র মহাপ্রসাদ এককালীন অভক্ষ্য ও অগ্রাহ্য হইয়া যাইবে ইহা কদাচই শাস্ত্রের অভিপ্রায় সিদ্ধ হইতে পারেন । “আব মহাপ্রসাদ ও গঙ্গাজল যখন পরস্পর সমান, তখন মহাপ্রসাদ ম্লেচ্ছংস্পর্শে অতুষ্ট থাকিলে গঙ্গাজল কদাপি দুষ্ট হইতে পাবে না । ববং উচ্ছিষ্ট দিবিচারশূন্য অতি অপবিত্র চণ্ডালভাণ্ডস্থ গঙ্গাজলকেও শাস্ত্রকারগণ মহৎপবন বলিয়া নির্দেশ করিযাছেন। যথা “অপি চাণ্ডালভাণ্ডস্থং তজলং পাবনং মহৎ।" মহাপ্রসাদ ও গঙ্গাজল কুরুব ও চণ্ডালের উচ্ছিষ্ট হইলেও যখন কেবল নিজে পবিত্র থাকে, এরূপ নহে, অন্যের পবিত্রতা ও মুক্তির কাবণ হ্য, তখন সেই মহাপ্রসাদ ও গঙ্গাজল যে ম্লেচ্ছম্পর্শে নিজেই অপবিত্র হইয়া পডিবে, ইহা অসীমসাহসের কথা । প্রতিপক্ষগণ সেই সাহসে সাহসী হইব চলিতেছেন ; এবং তৎপ্রধান ঐযুক্ত তারানাথ তর্কবাচস্পতি মহাশয় প্রস্তাবিত যন্ত্রোদ্ধত জলকে অশুচিপ্রমাণকরণার্থ তাহার বাচস্পত্যাভিধানেব আপেয় জলপ্রকরণে একটা নুতন বচনও প্রমাণস্বরূপে প্রকাশ করিয়াছেন। সে বচনটা এইঃ সর্বত্র পাবনী গঙ্গা ত্ৰিষু স্থানেষু দুষ্যতি। স্লেচ্ছম্পর্শে সুরাভাণ্ডে মেঘাদিজলমিশ্রণে ॥ অস্যার্থঃ । গঙ্গা সকলস্থলেই পবিত্রকারিণী বটেন, কিন্তু স্লেচ্ছম্পর্শে, সুরাভা৫ে ও মেঘাদির জলমিশ্রণে তাহার অাব সে শক্তি থাকে না, ঐ তিন স্থানে