পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هلم সাধারণের চিত্তে দৃঢ়াঙ্কিত হইয়াছে যে উহা নিরসন করিতে না পারিলে অল্প মত মাথা তুলিতে পারবে না। এজন্ত আমি যথেষ্ট প্রমাণ প্রয়োগ করিয়াছি, সে প্রমাণ সংগ্রহে কোন প্রকার চেষ্টা বাদ পড়িয়াছে বলিয়া মনে হয় না। সেকালের “বঙ্গাধিপ পরাজয়ে” প্রতাপের গৌরবকাহিনী প্রচারের জন্ত যেমন সময়োচিত গবেষণার পরিচয় ছিল, তেমনই কতকগুলি ঐতিহাসিক অসামঞ্জস্তের অবতারণা এবং অমূলক কলঙ্কারোপ দ্বারা বীরচরিত্র কলঙ্কিত করা হইয়াছে ; আধুনিক “রায়নন্দিনী’ নামক উপন্যাসে তাহার বা তদ্বংশীয়দিগের চরিত্র অখ্যাত করিবার জন্ত সত্যই যেন কেমন অস্থয়া এবং কুরুচির পরিচয় দেওয়া হইয়াছে। সে সকল ভ্রান্তি বা সে জাতীয় চেষ্টার অসারত, আমি যে সত্যোংঘাটন করিয়াছি, তদ্বারা নিরাকৃত হইবে, আশা করি । ঔপন্যাসিক হইলেই যে নিরঙ্কুশ হইয়া সত্যের অপলাপ করা যায়, এমন কোন কথা নাই। - যশোহর-খুলনার ইতিহাস যতই নগণ্য হউক, তাহাকে প্রকৃত ঐতিহাসিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করাই আমার প্রধান উদ্দেশ্য। এজন্ত আমি সৰ্ব্বত্রই বঙ্গীয় এবং ভারতীয় ইতিহাসের সঙ্গে সম্বন্ধ রাখিয়া সময় ও তথ্যের সমম্বর করিয়া অগ্রসর হইয়াছি। জেলার ইতিহাস লিখিতে গিয়া কোথায়ও দেশের ইতিহাসকে দৃষ্টিছাড়া করি নাই, পুস্তকের আকারবৃদ্ধির ইহাই অন্ততম কারণ। বঙ্গের দুইটি প্রধান জেলা আমার গওঁীভূক্ত, বঙ্গের বীরপুত্ৰগণের মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান দুই জনেরই জীবন কথা আমার গ্রন্থের বিষয়ীভূত। তৎসম্পর্কে যশোহর খুলনার ইতিবৃত্ত বঙ্গের, এমন কি, ভারতের ইতিহাসের অঙ্গাধীন। সেই সম্বন্ধস্বত্র স্থাপনের জন্ত প্রমাণ প্রয়োগ করিতে গিয়া বিষয়-বিস্তারের হাতে নিস্তার পাই নাই। ঐতিহাসিক আন্দোলনের ফলে যে সত্য অবিসংবাদিতরূপে স্বতঃই প্রতিভাত হইয়াছে, আমি ঐকাস্তিকতার সহিত তাঁহারই অনুবর্তন করিয়াছি। “নহমূল জনশ্রুভিঃ” এ কথা মানিয়া লইয়া চাকুষ পরীক্ষার সঙ্গে প্রচলিত প্রবাদ বা লিখিত প্রমাণের একত্র সামঞ্জস্ত করিয়া বহু গবেষণার পর নিজ মত স্থিতীকৃত করিয়া লইয়াছি । সে মতে যে ভুল থাকিতে পারে না, তাহা আমি বলিতেছি না। যাহা ভুল আছে, তজ্জন্ত আমিই অপরাধী। স্বধীবর্গ বলবত্তম প্রমাণে উচ্চ প্রদর্শন করিয়া দিলে, অবনত মস্তকে গ্রহণ করিয়া কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কৰিল। তৰে এই মাত্র বলিতে পারি, না দেখিয়া, ন বুঝির বা তাৰিয়,