পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 যশোহর-খুলনার ইতিহাস বিস্তৃত ভাবে প্রথম খণ্ডে আলোচিত হইয়াছে। রাজা সুশাসক বা প্রতাপশালী হইলেই হইল, তিনি হুসেন বা নসরৎ যিনিই হন, প্রজাবৰ্গ তাহার বিশেষ কোন ইতর-বিশেষ করিত না। মোগল বাদশাহ বাবর তুর্কাভাষায় লিখিত আত্মজীবনীতে লিখিয়া গিয়াছেন যে, “বঙ্গদেশে যে কেহ সিংহাসন অধিকার করিতে পারে, সেই সৰ্ব্বত্র রাজা বলিয়া সম্মানিত হয় ।”ঞ্চ বিশেষতঃ নানাগুণে হুসেন ও নসরৎ প্রজারঞ্জক হওয়ায় তাহাদের সময়ে শান্তি অব্যাহত ছিল। নসরং শাহের সময়েই কবীন্দ্র পরমেশ্বর ও ছুটিখার মহাভারত রচিত হয়। এ সময়ে দেশের লোকে রাজ্য বা রাজনীতির বিশেষ ধার ধারিত না, তাহারা যদি কিছু বাহিরের কথা ভাবিত, সে সেই গৌরাঙ্গদেবের নূতন ধৰ্ম্মের নূতন কথা। পাঠানদিগের প্রতি হিন্দুদের যাহা কিছু বিরক্তি বা বিদ্বেষ ছিল, তাহী ক্রমে হ্রাস পাইতেছিল। হুসেন ও নসরতের যুগে দেশের শান্তি, প্রজার ধনবৃদ্ধি, গুণের পুরস্কার ও হিন্দু মুসলমানের পারস্পরিক সৌহৃষ্ঠের জন্ত বিদ্বেষভাব একপ্রকার নিঃশেষ হইল। প্রথমতঃ বহুকালের শাসনের ফলে রাজনৈতিক অবস্থা ও জাতিগত সামান্ত পার্থক্যভাব একপ্রকার অভ্যস্ত হইয়া গিয়াছিল ; দ্বিতীয়তঃ যুদ্ধবিদ্যা ও শরীর চালনা হিন্দুদের একপ্রকার অনভ্যন্ত হইয় পড়িতেছিল। সুতরাং থাকিবার মধ্যে ছিল সামাজিক ও ধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় বিবাদ । চৈতন্যদেব ইহারও মীমাংসা করিয়াছিলেন। নবদ্বীপের সন্নিকটে পীরাল্যাগ্রামের মুসলমানের যে ভাবে নবদ্বীপের ব্রাহ্মণদিগকে উৎসন্ন করিয়াছিলেন, তাহার প্রমাণ বৈষ্ণব-গ্রন্থে ও ঘটকের পুথিতে আছে। + ঐ উৎপাতে কত ব্রাহ্মণ পণ্ডিত বঙ্গদেশ ত্যাগ করিয়া চিরনির্বাসিত হইতেছিলেন। সুতরাং সমাজে যে সমস্ত উপস্থিত হইয়াছিল, তাহার মীমাংসা আবশ্যক। ভক্তের আবির্ভাব ব্যতীত ধৰ্ম্মের গ্লানি বিদূরিত হয় না। তাই চৈতন্ত মহাপ্রভূ অবতীর্ণ হইলেন। তিনি আত্মজীবনে এক মহান ত্যাগের জীবন্ত দৃষ্টান্ত দেখাইয়া, মানুষের মনের ধন্ধ ঘুচাইয়া দিলেন, গতিমতি ফিরাইয়া দিলেন, তর্কজাল ছিন্ন ভিন্ন করিয়া ভেদনীতির মূলে কুঠারাঘাত করিলেন। তখন লোকের চমক ভাঙ্গিল ; লোকে চাহিয়া দেখিল—এক নূতন প্রেমের রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, + "शृtभांश्छ-धूलनॉब्र इंडिशम", »भ थ७, ७०● शृः ।