পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

も〉さ যশোহর-খুলনার ইতিহাস পত্রে সংক্ষেপে তাহার পূজা হয়। এই ঠাকুরবর সাহেব প্রতাপাদিত্যের সমসাময়িক এবং সেই উদার-হৃদয় নৃপতির মত তিনিও হিন্দু মুসলমানের সম্প্রীতি সংস্থাপন করিয়াছিলেন। যমুনা ও ইচ্ছামতী সঙ্গমে অবস্থিত চারঘাট একটি প্রসিদ্ধ মোঙ্গনা, যশোর রাজ্যের উত্তর দিকের প্রবেশ দ্বার স্বরূপ। সেখানে প্রতাপকে সময় সময় আসিতে হইত ; কথিত হয়, ঠাকুরবরও কখনও কখনও ধূমঘাটে যাইতেন। হ’রে গুড়ি বা হরি শৌণ্ডিকনামক এক ব্যক্তি এই ঠাকুরবর সাহেবের বিশেষ প্রিয়পাত্র ছিল । হরির পূর্বনিবাস কাচদহে, সে অতি দরিদ্র এবং বাল্যকালেই পীর সাহেবের কৃপালাভ করিয়া যৌবনে ব্যবসায় বাণিজ্য দ্বারা অতুল ঐশ্বৰ্য্য লাভ করে। ঐশ্বর্যোর ফল যাহা হয়, হরি শোণ্ডিক ধনশালী বণিক হইয়া অতিরিক্ত গৰ্ব্বিত হয় এবং পরে পীরের সহিত বিবাদ করিতে গিয়া তাহার অভিশাপেই ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। এখনও গোবরডাঙ্গার নিকট যমুনার অপরপারে, মাঠের মধ্য দিয়া “হ’রে গুড়ির রাস্তা” নামক একটি প্রশস্ত পথের চিকু আছে ; লোকে এখনও উছ চিনিতে পারে এবং আমাকে তাহ দেখাইয়া দিয়াছিল। ঐ রাস্ত৷ ‘গৌড় বঙ্গের প্রাচীন রাস্ত হইতে বাহির হইয়া চারঘাটে যমুনার মোহানা পর্য্যস্ত বিস্তৃত ছিল। সুতরাং চারঘাটে যাইবার উহাই একমাত্র সদর রাস্তা এবং হ’রে গুড়ির কীৰ্ত্তি। গোঁড়বঙ্গের রাস্তার কথা আমরা পরে বলিব। সেই পথ দিয়াই মানসিংহ আসিয়াছিলেন। হ’রে গুড়ি বলিলে যাহা বুঝায়,হরিশোণ্ডিক তাহ ছিলেন না ; তিনি রীতিমত ধনশালী খ্যাতনামা বণিক। তাহার পণ্যভরাক্রান্ত ডিঙ্গা নানা দিগদেশে প্রেরিত হইত। চারঘাটে মাটর নিয়ে এক সময়ে তাম্রপাত যুক্ত প্রকাও নৌকার ভগ্নাবশেষ পাওয়া গিয়াছিল। হরির কয়েকখানি পণ্য-তরী কয়েকবার পটুগীজ দমুদিগের দ্বারা লুষ্ঠিত হইয়াছিল। কার্ভালো নিজে বা তাহার দলভূক্ত অন্যে এই দক্ষতা করিয়াছিল, তাহা জানা যায় না । ইহার জন্ত প্রতিহিংসা লইতে হরি সর্বদাই চেষ্টা করিত ; ধূমঘাটে রাজদরবারে বণিক বলিয়৷ তাঙ্কার কিছু খ্যাতি ও প্রতিপত্তি ছিল ; কার্ভালোকে যশোহরে আসিবার জষ্ঠ নিমন্ত্ৰণ করিতে যে আদেশ প্রচারিত হয়, তাহার মূলে হরির কোন চেষ্ট। ছিল কি না বলা যায় না। কার্ভালে যখন যমুনা পথে যশোহরে আসিতেছিলেন,