উৎসর্গ-পত্ৰ আচাৰ্য্য স্তর শ্ৰীযুক্ত প্রফুল্লচন্দ্র রায় মহোদয় শ্ৰীশ্ৰীচরণকমলেষু আচাৰ্য্যদেব ! আমার “যশোহর-খুলনার ইতিহাসের ১ম খণ্ডের মত এই তীিয় খণ্ড প্রকাশেরও সকল ব্যবস্থা আপনি করিয়াছেন, আমি গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজা করিবার মত ভক্তিভরে ইহা আপনারই করপল্লবে সমর্পণ করিতেছি । দ্বাদশ বর্ষ পূৰ্ব্বে আপনি আমাকে যে উৎসাহ-বাণীদ্বারা উদ্বোধিত করিয়াছিলেন, তাহা এখনও আমার কর্ণে ঝঙ্কৃত হইতেছে ; আমি তদনুসারে কার্য্য করিতে কোন প্রকার প্রাণপাতী পরিশ্রমে ব -প্রাণ হাতে লইয়া দুর্গম স্থানে তথ্যানুসন্ধানে কাতর হই নাই। কিন্তু কাৰ্য্যক্ষেত্রে প্রকৃত সফলতা লাভের শক্তি আমার ছিল কিনা জানি না ; আপনার কথার সার্থকতা আপনিই বিচার করিবেন। তবে এই মাত্র বলিতে পারি, আমার গ্রন্থে আর যাহা কিছুরই অভাব থাকুক্, ইহাতে প্ৰাণেৰ অভাব নাই, দেশ-মাতৃকার প্রতি ভক্তির অভাব নাই, কঠোব ন্তায়পরতার সঙ্গে সমদৰ্শিতার অভাব নাই। আপনি সৰ্ব্বজাতিতে সৰ্ব্বভূতে সমদৰ্শী ; ঐতিহাসিক ক্ষেত্রে আমিও সে নীতির অনুসরণ করিতে ক্রটি করি নাই। আমি কোন স্থলে বোধ হয় অনাবশ্বক আবেগ বা উচ্ছাসের প্রশ্রয় দেই নাই, ভাষাকে সরস করিতে গিয়াও সতর্কতা বা সত্যানুবৰ্ত্তিত হাবাই নাই। আমি সৰ্ব্বত্র সংক্ষেপ ও সংকোচের জষ্ঠষ্ট চেষ্টত থাকিয়া অনর্থক অতিরঞ্জন পরিগর করিয়াছি। তবুও পুস্তক বড় হইয়াছে ; হুইয়াছেও আপনার কৃপায় ; আপনি অনেক ছোটকেই বড় করিয়াছেন। আপনি যশোহর-খুলনার গৌরব-স্তস্ত। খুলনা আপনার জন্মগৌরবে পবিত্র, যশোহর আপনার বংশ-গৌরবে মুরভিত; সমগ্র বঙ্গ আপনার কৰ্ম্ম-গৌরবে সমুন্নত, ভারতবর্ষ আপনার কীৰ্ত্তি-কথায় মুখরিত ; আর বিশ্বমানব আপনার জ্ঞান-গৌরবে উদ্ভাসিত । সকলেই আপনার নিকট ঋণগ্রস্ত, কিন্তু কেহই অঋণী হইতে চাহে না । আমার কথাও তাহাই । আপনি অর্থ আয় করেন ত্যাগের জষ্ঠ, ভোগের জন্য নহে ; সে অর্থ নিত্য বঙ্গীয় যুবকের শিক্ষাদীক্ষায় এবং বিদ্যাপীঠের সাহায্য-করে অবিরত বারিত হয়। শুধু তুছিাই নহে, বঙ্গের
পাতা:যশোহর-খুল্নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।