পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানসিংহের সঙ্গে যুদ্ধ ও সন্ধি ogo হইতে যমুনা নদী ৩৪ মাইল মাত্ৰ পূৰ্ব্বদিকে গিয়া পরে দক্ষিণ-বাহিনী হইয়া একেবারে ধূমঘাট দুর্গের পাদদেশে পৌছিয়ছিল। আজকাল যমুনা একটি শীর্ণকায় খালের মত হইলেও উহার উভয় পাশ্বে প্রায় একক্রোশ বিস্তৃত খাত এখনও পূৰ্ব্বাবস্থার পরিচয় দিতেছে। সেই যমুনা তখন মোগল শিবিল হইতে একটু দূরে সমকোণ করিয়া উত্তর ও পূৰ্ব্ব দিক জড়িয়া ছিল এবং উহার মধ্যে প্রতাপাদিত্যের ঘন-সন্নিবিষ্ট রণতরী সমূহের অনলবর্ষ তোপ-শ্রেণী তীর লক্ষ্য করিয়া শ্রেণীবদ্ধ ছিল ; মাস্থলে মাস্তুলে মধ্যাহ্ন-স্বৰ্য্য চিহ্ িত পতাকা উড়িতেছিল। সুতরাং এই স্থানেই যে যুদ্ধ হইবে, তাহ মানসিংহের বুঝিতে বাকী রঙ্গিল না। তিনি বুঝিলেন, তাহাকে আর অগ্রসর হইতে দেওয়া হইবে না । মোগল সৈন্ত যে পথ দিয়া আসিয়াছে, তাহার দুই পার্থ লুণ্ঠনাদি দ্বারা উৎসন্ন ইয়াছে। বসন্তপুরের দক্ষিণ হইতে ধূমঘাট পর্যন্ত প্রতাপাদিত্যের বিস্তীর্ণ রাজধানীর পঞ্চক্রোশী সঙ্গর বলিলে চলে। মোগল সৈন্তকে সেখানে প্রবেশ করিতে দিলে, প্রজাকুল রাজা মানসিংহ । ব্যাকুল হইবে। মোগলদিগের কালিন্দী পার হইবার সংবাদ পাইবামাত্র বহু প্রজা শত্রুভয়ে যথাসৰ্ব্বস্ব সঙ্গে লইয়া মুকুন্দপুর ও ধূমঘাটের দুর্গমধ্যে গিয়া আশ্রয় লষ্টয়াছে। এই জন্য মানসিংহ আসিতে না আসিতে প্রতাপেৰ সৈঙ্কজাল