পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ যশোহর-খুলনার ইতিহাস প্রতিনিধি হইয়া শাসন করেন বলিয় তাহার রাজত্বকাল উহারই অন্তভুক্ত। সুলেমান স্বীয় হস্তে রাজ্যভার লইয়া গৌড় হইতে র্তাড়ায় রাজধানী স্থানান্তরিত করিয়াছিলেন। এদিকে আকবর শাহও বৈরাম খার কঠোর শাসন হইতে রাজ্যভার স্বীয় হন্তে লইয়৷ আগ্ৰায় মুরক্ষিত রাজধানী স্থাপন করিয়া মোগল সিংহাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। সুতরাং উত্তর ভারতে মোগল পক্ষে আকবর এবং পাঠান পক্ষে সুলেমান প্রকৃতপক্ষে দেশের দণ্ডমুণ্ডের কৰ্ত্ত হন। উভয়ই চতুর লোক। আকবর যুবক, স্থলেমান বৃদ্ধ। তবুও চতুরে চতুরে যুবকে বৃদ্ধে মিত্রত স্থাপিত হইল। স্থলেমান দেখিলেন দেশীয় রাজন্তবর্গ র্তাহার দরবারে নতশির, বঙ্গ বিহার উড়িষ্যার সর্বস্ব র্তাহার করায়ত্ত, এ সময়ে নববলদৃপ্ত আকবরের বিরুদ্ধাচারী হইয়া অনর্থক বলক্ষয় ও অবশেষে দেশত্যাগ করিবার সম্ভাবনা ডাকিয়া আনিবার প্রয়োজন কি ? অতএব মিঞা সুলেমান “হজরত আলি” এই গৰ্ব্বিত উপাধি ধারণ করিয়া গৌরব মণ্ডিত রছিলেন, অথচ কখনও আকবর শাহের অধীনতা অস্বীকার করিলেন না। বরং বাদশাহের প্রতিনিধি মুনেম খাঁর সহিত সাক্ষাৎ করিয়া সন্ধিস্থত্রে আবদ্ধ হইলেন এবং সৰ্ব্বদা বাদশাহ-দরবারে আবেদন ও উপহারাদি প্রেরণ করিয়া সম্ভাব অক্ষুন্ন রাখিলেন। তিনি নিজনামে কখনও মুদ্রা প্রচলন করিয়াছিলেন বলিয়া জানা যায় নাই। • অপর দিকে আকবর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হইয়াই দেখিলেন, ভারত জুড়িয়া বিদ্রোহ বহ্নি জ্বলিয়াছে, সকল দিকেই তাহার শত্ৰগণ মাথা তুলিয়া দণ্ডায়মান, তন্মধ্যে রাজপুত শক্তি বড় প্রবল। সে শক্তি পর্যুদস্ত করিতে ন পরিলে, রাজমুকুট খসিয়া পড়িবে ; শুধু বঙ্গবিহারে কেন, কেন্দ্রীভূত পাঠান শক্তি দেশময় ছড়াইয়া পড়িয়ছে, একে একে সকলকে নিৰ্ম্মল করিতে ন পারিলে পাণিপথের যুদ্ধফল বিফল হইবে, আগ্রার রাজতন্ত উড়িয়া যাইবে। এমন সময় যদি তাহাকে সুলেমানের মত কৌশলী ও শক্তিশালী ব্যক্তির সহিত শক্ৰতা করিতে হয়, তাহ হইলে অন্যদিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করা চলে না। স্বতরাং তিনিও সুলেমানের মৌখিক অধীনতার স্বীকৃত হইয় অন্তদিকে রাজ্যবিস্তারে আত্মনিয়োগ করিলেন ; কেবলমাত্র স্থলেমানের গতিবিধি লক্ষ্য করিবার জন্ত, আগ্রার দিকে তাঁহার গতিপথ রুদ্ধ করিবার জন্ত, সুযোগ্য সৈন্তাধ্যক্ষ মুনেম খাকে প্রহরীস্বরূপ জৌনপুরে * ब्राथाण मान बप्लाणाशांड क्लङ बांत्रणाब्र शकिशन, २ब्र १७, ७** शृः। -