পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহর-খুলনার ইতিহাস في سوريا চড়িয়া তথায় পৌঁছিলেন, সঙ্গী দুইজন মন্ত্রী । তিনি বিনীত ভাবে ইনায়েৎ খার তাঙ্গুর বাহিরে দাড়াঙ্গয় সাক্ষাৎ প্রার্থনা করিলেন । খাgষ্ঠাহাকে মন্তি করিয়া ভিতরে লষ্টয় গেলেন এবং যথাসম্ভব ভদ্রত করিলেন।” * এমন প্রবল শত্রকে ছুস্তগত করিতে পারিলে, র্তাহার যে উন্নতির পথ সোজা হইবে তাহা বলাই বাহুল্য। "স্থির হইল যে বাদশাহী সৈন্য খাগড়াঘাটে থাকিবে এবং ইনায়েৎ খাঁ প্রতাপকে ঢাকায় সুবাদারের নিকট লইয়া যাইবেন এবং তথায় যেরূপ আজ্ঞা হয়, পরে তাহাই করা যাইবে । যাহাতে পুনরায় সন্ধি হয়, ইনায়েৎ তাহাই করিয়া দিবেন বলিয়া আশ্বাস দিলেন, নতুবা প্রতাপ সহজে দেশত্যাগ করিষ। যাইতেন না। চতুর্থ দিবসে ৪০থান নৌকা লইয়৷ ইনারেৎ ও প্রতাপ ঢাকা রওনা হইলেন। ইনায়েৎ প্রতাপাদিত্যের প্রতি বিশেষ সম্মান দেখাইয়া উপযুক্ত সাজ সরঞ্জাম সহ তাহাকে ঢাকায় লইয়া গেলেন। সঙ্গে আর কে কে গিয়াছিল, তাহার উল্লেখ নাই । এদিকে জ্যৈষ্ঠমাস আসিল ; বর্ষ আগত প্রায়। এজন্ত মোগল সৈন্তেরা খাগড়াঘাটে ইছামতীর কূল দিয়া খড়ের ও গোলপাতার বাঙ্গাল ঘর বাধিয়া বাস করিল। কারণ ঢাকা হইতে ইনায়েৎ খাঁ স্বয়ং বা অন্তদ্বারা সংবাদ আসিতে আসিতে বর্ষা আসিয়া পড়িবে, তখন স্থান ত্যাগ করিবার সময় থাকিবে না, অথচ এদেশে বাস করিতে হইলেও ঘরগুলি বাসোপযোগী ভাল হওয়া চাই। এজষ্ঠ সৈন্তাবাস গুলি মনোরম করিয়া প্রস্তুত কয় হইল ৷ ইনায়েৎ খার অনুপস্থিতিকালে মীর্জ সহনই প্রধান সেনানী হইয় রছিলেন। সম্ভবতঃ এই সময়েই তিনি বহারিস্তানে যুদ্ধ-বিবরণী লিখিয়াছিলেন। প্রতাপাদিত্য ঢাকা যাইবার কালে, জ্যেষ্ঠপুত্র উদয়াদিত্যকে সৰ্ব্বময় কর্তা করিয়া রাখিয় গেলেন। ইসলাম খাঁ তাহার উপর কি ব্যবহার করিবেন তাহ সম্পূর্ণ অজ্ঞাত। এজন্য তিনি সকলের নিকট বিদায় লইয়া গেলেন। পরিবার বর্গের নিকট বিদায় গ্রহণ করিয়া মায়ের মন্দিরে পূজা ও প্রার্থনা করিলেন । সে করুণ দৃশু সহজে অনুমেয়, বর্ণনার আবশ্বক নাই। যদি তাগ্যবশে তিনি না ফিবেন, তখন পরিবার বর্গের কি দশা হইবে, তাছাও যে চিন্তা করা • óबवजिौ, 8ो. |