পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহরের ফৌজদারগণ 889 বৎসরব্যাপী দুর্ভিক্ষের সময় তিনি যে প্রাণপাত করিয়া বুভূক্ষু ও আতুরের সেবা করিয়াছেন, তজ্জন্ত তাহার নাম সে অঞ্চলে চিরস্মরণীয় হইয়া রহিবে। তঁহারই চেষ্টায় ঈশ্বরীপুরে পোষ্টফিস ইয়াছে দাতব্য ডিম্পেন্সার বসিয়াছে, রাস্তাঘাট ভাল হইয়াছে, মায়ের মন্দিরসংলগ্ন গৃহাদির সংস্কার হইয়াছে, উহার দোতালার একটি স্বরকে তিনি আমাদের উপদেশে ছোটখাট যাদুঘৱে পরিণত করিয়া তথায় প্রতাপের কীৰ্ত্তিচিহ্ন সমূহ কুড়াইয়। রাখিয়া আর্কিওলজিকাল ডিপার্টমেণ্টেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছেন ; আর যমুনার ক্ষীণ স্রোতের বাধ কটিয়া ঈশ্বরীপুরের যাতায়াতের পথ খোলসা করিতে গিয়া কত স্বার্থপরায়ণ বন্ধুরও চক্ষুশূল হইতেছেন। আবার কি যমুনা কূল ছাপাইয়া জল ভারে ভাসিবে ? আর শত সহস্ৰ দুৱাগত তীর্থযাত্ৰী আনিয়া মায়ের মন্দিরে কোলাহল তুলিৰে ? সে দিন কি আর আসিবে ? পথৰুত্রিংশ পরিচ্ছেদ-স্যশোহল্পের ফৌজদারগণ প্রতাপাদিত্যের পতনের পর সেনাপতি ইনায়েৎ খ যশোর-রাজ্য শাসনের জষ্ঠ বাদশাহী ফৌজসহ তথায় প্রতিষ্ঠিত হন ; আকবরের সময় ইষ্টতে এইরূপ প্রত্যস্ত রাজ্যে কতকগুলি পরগণ একত্ৰযোগে একজন বিশ্বস্ত, স্তায়পরায়ণ ও স্বার্থশূন্ত সেনাপতির শাসনাধীন করিয়া রাখিবার রীতি প্ৰবৰ্ত্তিত হয়। ৬ ইহাকে ফৌজদার বলিত, ইনায়েৎ ধী যশোহরের প্রথম ফৌজদার । এই সময়ে চাদ রায় পৈতৃক রাজ্যাংশের অধিকারী ছিলেন ; ইনায়েৎ খাঁ তাহাকে ধূমঘাটে আসিয়া বাস করিবার সন্মতি দেন। শেষ যুদ্ধে প্রতাপের দুর্গ ও রাজবাটীর যথেষ্ট ক্ষতি হয়, চাদ রায় আসিয়া সেন্থ ভগ্ন দুর্গসংলগ্ন বাটতে বাস করেন। ইনায়েৎ খাঁ স্বয়ং টেঙ্গ মসজিদের নিকটবৰ্ত্ত "ছামামখানা” নামক গৃহে বাস করিতেন। ইহার বিবরণ পূৰ্ব্বে দিয়াছি ( ১৫৭-৮ পৃ: ) । তখন উছ দোতাল মৃদর গৃহ, উহার পোতা মাটা হইতে অনেক উচ্চ ছিল, এখন বাড়ীটি বসিয়া গিয়াছে। ঐ গৃহের নিয়তলে হামামখানা বা স্নানাগার ও তোষাখান

  • Ain-i-Akbari Vol. ான } Ps 40 ––– " '