পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

de 8 যশোহর-খুলনার ইতিহাস মুর্শিদাবাদে গিয়া কোরাণ ও ধৰ্ম্মশাস্ত্রে ব্যুৎপন্ন হন। সৰ্ব্বপ্রকারে তাঁহাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ করিবার চেষ্টা হইয়াছিল । এরূপ গুনা যায়, ভ্রাতা ভগ্নী উভয়ে ভোলানাথ ওস্তাদের নিকট সঙ্গীত বিজ্ঞা ও সেতার শিক্ষা করিয়াছিলেন। কিছুকাল পরে মহসীনের মাতা ও পিতা উভয়ে কালপ্রাপ্ত হইলেন। এ সময়ে ময়ুজান অপূৰ্ব্ব স্বন্দরী, পূর্ণ যুবতী ; ভ্রাতা ভিন্ন তাহার জগতে আর কেহ রছিল না ; কিন্তু রহিল বিপুল সম্পদ, তজ্জন্ত বহু জনে তাহার পাণিপ্রার্থ হইতে লাগিল। এমন কি শক্রতে তাহার জীবন নাশেরও চেষ্টা করিয়াছিল, মহসীনের কৌশলে তাহার জীবন রক্ষা হইয়াছিল। কিছুদিন মধ্যে হুগলীর নায়েব ফৌজদার মীর্জ মহম্মদ সালাহউদ্দীনের সহিত মনুজ্ঞানের বিবাহ হইয়া গেল। মীর্জা সালাহউদ্দীন আগামুতাহারের সম্পর্কিত ভ্রাতু পুত্র এবং তাহার জীবদ্দশায় ইস্পাহান হষ্টতে হুগলীতে আসেন। আলিবর্দী ধার সময়ে তিনি নৰাব সরকারে চাকরী গ্রহণ করেন এবং মারহাট্টাদিগের সহিত সন্ধি-সম্পাদনের কালে রাজনৈতিক কূটবুদ্ধির পরিচয় দিয়া নবাবের অত্যন্ত প্রিয়পাত্র হন। র্তাহার অনুরোধে বাদশাহ মীর্জাকে খেলাত ও জায়গীর দিয়া অনুগৃহীত করেন। • এই সময়ে তিনি মাসিক ১৫০০ টাকা বেতনে হুগলীর নায়েব ফৌজদার নিযুক্ত হন এবং মনুষ্ঠানের সহিত র্তাহার বিবাহ হয় (১৭৫২)। মনুস্থান কয়েকবৎসরকাল মুখে স্বচ্ছদে দাম্পত্য জীবন সম্ভোগ করিয়াছিলেন। র্তাহার কোন সন্তানাদি হয় নাই। স্বামী স্ত্রী উভয়েরই যথেষ্ট সম্পত্তি ছিল, হৃদয়ে উদারতা ছিল, তাই দ্বানখয়রাতে তাহারা অনেক অর্থের সদ্ব্যবহার করিয়াছিলেন। মুজান পিতার নিকট হইতে যে ভূসম্পত্তি পাইয়াছিলেন এবং তাছার স্বামী বাদশাহের নিকট হইতে যে জায়গীর পান, তাহার অধিকাংশই কলিকাতার নিকটবৰ্ত্তী স্থানে ছিল। পলাশীর যুদ্ধের পর মীরজাফর যখন ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানিকে ২৪ পরগণা জমা দেন, তখন কতকাংশ উভয়ের সেই সম্পত্তি হইতে লওয়া হয়। ইহারই পরিবর্তে সালাহউদ্দীন কি ভাবে নবাবের আদেশে চাচড়া জমিদারীর বেওয়ারিশ চারি আন অংশ দখল করিয়া লন, আমরা তাছা

  • Hooghly, Past and Present (S. C. Dey) p. 74.