পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা যশোহর-খুলনার ইতিহাসের প্রথম খণ্ড বাহির হইবার আট বৎসর পরে উহার দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হইল। শ্ৰীভগবানের অপার করুণা এবং আচার্য্য প্রফুল্লচন্ত্রের দানশীলতাই এ পুস্তক প্রকাশের একমাত্র সহায়। ইষ্টকুপ ব্যতীত আমার জীবনের আশা ছিল না ; আচার্য্যদেবের কৃপা ব্যতীত পুস্তক ছাপিয়া বাহির করিবার ভরসা ছিল না। এই কথার সবল অভিব্যক্তি ব্যতীত আন্তরিক কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপনের আর কি ভাষা থাকিতে পারে, আমি তাহ জানি না। ১৩২১ সালের আশ্বিন মাসে প্রথম খণ্ড সাধারণের হস্তে দিবার কয়েক মাস পরে, আমি সাতক্ষীরায় গিয়া ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের জন্ত ভ্রমণফলে সাংঘাতিক বসন্ত রোগে আক্রান্ত হইয়া দৌলতপুরে ফিরিয়া আসি। তেমন ভীষণ আক্ৰমণ আমার আত্মীয় বন্ধুর কেহ কখনও দেখেন নাই ; আমার জীবনের কিছুমাত্র আশা ছিল না, মৃত্যু-সংবাদও রটিয়াছিল। অবশেষে vকৃপায় এবং শত শত পরিচিত বা অজ্ঞাত আত্মীয় বন্ধু ও দেশবাসীর অযাচিত আশীৰ্ব্বাদের ফলে আমি বাচিয়া উঠি । এমন বাচা কদাচিৎ লোকে বঁাচে ; ইচ্ছাময়ের ইচ্ছ। তিনিই জানেন। রোগযন্ত্রণায় চৈতন্য-লোপের পূর্বক্ষণ পর্যন্ত আমার চিন্ত ছিল, এই ইতিহাস সম্বন্ধীয় আমার দায়িত্ব বুঝি অপূর্ণ রহিয়া গেল। দৈবকৃপায় রোগমুক্তির পর পূর্ণ ভক্তিবিশ্বাসে ও দ্বিগুণ উৎসাহে আবার আরন্ধ কার্য্যে নিরত হইলাম। তবুও কত বাধা বিপত্তি ও ভাগ্যবিড়ম্বন যে আমার পথের অস্তুরায় হইয়াছে, ১৩২৫ সালে দারুণ ভ্রাতৃশোকে জর্জরিত হইয়া, পরবৎসর আকস্মিক ঝটিকাবর্তে বিপন্ন ও আবাসগুপ্ত হইয়া, যে কত অশান্তির মধ্যে কাৰ্য্য করিয়া চলিয়াছি, তাহ বলিবার নহে। সে কাৰ্য্যের ফলাফল আজ সাধারণের সমক্ষে উপস্থাপিত হইল, উহার বিচারক আমি নহি। প্রথম খণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় খণ্ড যন্ত্রস্থ হুইবার কথা ছিল, তাহ হয় নাই। বিলম্বের কারণ কতক পূৰ্ব্বে দিয়াছি ; প্রথমতঃ আমি বৎসরাধিক কাল একপ্রকার স্নকৰ্ম্মণ্যই ছিলাম ; দ্বিতীয়তঃ ইয়োরোপীয় মহাসমরের ফলে