পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২৪ যশোহর-খুলনার ইতিহাস বিশ্বনাথই কোন কারণে যশোহরে আসেন। র্তাহার দুই পুত্ৰ মহেক্স নারায়ণ ও দুল্লভ নারায়ণ। মহেন্দ্র নারায়ণের সস্তুতিগণ “রায়” উপাধিধারী এবং তাহার এখনও চিত্রাণীর কুলে নড়াইলের নিকট আউড়িয়া গ্রামে বাস করিতেছেন এবং দুল্লভ নারায়ণের বংশধরগণ নবগঙ্গার তীরবর্তী রায়গ্রামে বাস করিতেছেন। দ্বল্প ভের প্রপৌত্র রামরূপই সীতারামের প্রধান সেনাপতি। মহম্মদপুর অবরোধের সময় ১৭১৪ খৃষ্টাব্দে তাহার মৃত্যু ঘটে। তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাত রামশঙ্কর রায়প্রামেব বাটতে একটি অতি সুন্দর জোড়-বাঙ্গাল নিৰ্ম্মাণ করিয়া তন্মধ্যে ৮নারায়ণ বিগ্রহ স্থাপন করেন এবং পাশ্বে একটি শিবমন্দিরে শিব প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন । সে জোড় বাঙ্গাল ও শিবমন্দির এখনও বৰ্ত্তমান আছে। শিবমন্দিরে যে শ্লোকটি উৎকীর্ণ আছে, তাহ এই – “ষষ্ঠবেদাঙ্গ চন্দ্রমে শাকে শ্ৰীশঙ্করালয়ঃ । অকারি শঙ্করাখ্যেন ঘোষেনাপি মুভক্তিতঃ ॥” - “সন ১১৩১” ষষ্ঠ=৬, বেদ=৪, অঙ্গ=৬, চন্দ্র =১ ; অঙ্কের বামগতিতে ১৬৪৬ শক বা ১৭২৪ খৃষ্টাদ। ১৯৩১ সালে ও ঐ একই বৎসর হয়। অর্থাৎ ইহা হইভে বুঝা যাইতেছে, সীতারাম ও মেনাহাতীর মৃত্যুর দশ বৎসর পরে উক্ত মন্দির নিৰ্ম্মিত হয়। মন্দিরটি বড় মুন্দর, উহাতে এবং জোড় বাঙ্গালায় যে শিল্প-কলার পরিচয় পাওয়া যায়, তাহা ঠিক সীতারামের মন্দিরের অনুরূপ এবং দেখিলে ঠিক সীতারামের শিল্পিগণ কর্তৃক রচিত দেবনিকেতন বলিয়া ভ্রম হয়। জোড় বাঙ্গালার প্রত্যেক বাঙ্গালার বাহিরের মাপ ২৮× ১১-৫% এবং মন্দিরের মাপ ১৪%৪"x১৪-৪ ইঞ্চি । রামশঙ্করের জ্যেষ্ঠ পুত্র ব্রজকিশোৰ কৃতী লোক ছিলেন, তিনি নাটোর রাজসরকারে প্রবেশ করেন এবং কাৰ্য্যগুণে লোকের নিকট খ্যাত্ত্বি এবং নিজের জন্ত যথেষ্ট অর্থ সঞ্চয় করেন। সম্ভবতঃ মহারাজ রামকৃষ্ণ যখন লক্ষ্মীপাশার wকালীবাড়ীতে আসেন, তখনই ব্রজকিশোর র্তাহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ইংরাজ গবর্ণমেণ্টের শাসন কালে দশসালা বন্দোবস্তের সময় মহারাজ যে ডৌল বা রাজস্ব-হিসাব দাখিল করেন, তাহ প্রধানতঃ ব্রজকিশোরের গুরুতর পরিশ্রমের ফল। ব্রজকিশোরের কনিষ্ঠ ভ্রাতা রামকিশোরের প্রপৌত্র সীতানাথ ঘোষ বৈজ্ঞানিক ডাক্তাররূপে