পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిఫి যশোহর-খুলনার ইতিহাস । একস্থানে অনেকগুলি একত্র ঝাড় বাধিয়া থাকে। গাছগুলি ৮১০ ফুট হইতে ১৫১৬ ফুট পৰ্য্যন্ত উচ্চ হয়। এ গাছ বঁাশ অপেক্ষা অধিক মোটা হয় না, সাধারণতঃ সরু বাশের মতই মোটা হয়। ইহার সরু গাছে লাঠি এবং ঘরের চালের রুয়া হয়। হেঁতালের নড়ি বা ছড়ির কথা “মনসার ভাসানে” আছে । হেঁতালবন ব্যান্ত্রের একটি প্রধান আড্ডা, কারণ ইহার ভিতরে পরিষ্কৃত এবং উপরে ঢাকা থাকে। সুন্দরবনে বাঘ প্রভৃতি হিংস্র জন্তুর লুকাইয়া থাকিবার উপযোগী, হেঁতাল ব্যতীত বল, বলামুন্দরী এবং হ’দে নামক আরও তিন প্রকার গাছ আছে। বলাগাছের গোল গোল পাতা ও হরিদ্রাবর্ণ পুষ্প হয়, গাছগুলি ঝোপসা বাধিয়া একস্থানে বহুদূর লইয়া নদী বা খালের ধারে জুড়িয়া থাকে। ব্যাস্ত্র প্রভৃতি জলপিপাসু হিংস্ৰজন্তু ঐ ঝোপের মধ্যে সুন্দর ছায়ায় বসিয়া শিকার অন্বেষণ করে। হ'দোগাছ খড় প্রভৃতির ন্যায় একটু উচ্চ শুষ্কস্থানে জন্মে। এই সকল গাছ ভিন্ন শিঙ্গড় বা সিঙ্গুর, গড়ে বা গড়িয়া, ওড়া, কাকৃড়া, খলসী ভাণ্ডার বা ভাড়ার, করঞ্জ এবং হিঙ্গে এই আট প্রকার কাঠের গাছ বনস্থলী জঙ্গলাকীর্ণ করিয়া রাখে এবং সকলগুলিই জালানি কাঠের জন্ত ব্যবহৃত হয়। সিঙ্গুড় ও র্কাকৃড়া কিছু শক্ত, ওড়া প্রভৃতি কাঠ খুব নরম । হিঙ্গের কাঠ খুব পাতলা ; ইহাদ্বারা পালকীর বাট হয় এবং দক্ষিণ দেশীয় লোকে পাঙ্গাসমাছ প্রভৃতি ধরিবার জালগুলি জলে ভাসাইয়া রাখিবার জন্ত হিঙ্গে দ্বারা “ভাসান কাঠ” প্রস্তুত করে । অল্প লোণাতেও ওড়াগাছ জন্মে ; এমন কি ভৈরব, কপোতাক্ষ প্রভৃতি নদীতে পাৰ্ব্বত্যস্রোতের সংযোগ বন্ধ হওয়ার পর যত লোণাজল উপরে উঠতেছে, ততই সেই সকল স্থানে নদীর ধারে ওড়াগাছের অবির্ভাব দেখা যায়। ওড়ার পাতা পচিয়া সেইস্থান হইতে চিংড়িমাছ ও অন্যান্ত পোকার উদ্ভব হয়। এইজন্ত লোণাস্থানে অধিক পরিমাণ চিংড়ি প্রভৃতি মৎস্ত জন্মে। - - এতদ্ব্যতীত জলের কূলে হরগোজ নামক কাটা গাছ, বিস্তৃত চরে ওড়াধান, খোলাজায়গায় খড়জাতীয় কাশা ও তুলাটেপারী, বালুকার চরে বন বাউ এবং দৈবাৎ কোনস্থানে সাধারণ ঝাউ ও বনলেবু দেখা যায়। সুন্দরবমের মধ্যে যেখানে প্রাচীন বসতির চিহ্ন আছে, উচ্চভিটা বা ইষ্টকগুহের ভগ্নাবশেষ