পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ—সুন্দরবনের জীবজন্তু। ఫిd

  1. R&# "Rfz (” Riis (Royal Bengal Tjger) বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। অন্ত দেশীয় ব্যান্ত্রের সহিত ইহার অনেক পার্থক্য আছে। প্রথমতঃ ইহার হরিদ্রাবর্ণ গাত্রে লম্বা লম্বা কালে ডোরা ( Stripe ) দেওয়া থাকে ; অষ্ঠ প্রকার ব্যান্ত্রের গায়ে কোথায়ও কালো ফোটা বা বড় গোলাকার চিহ্ন দেখা যায়। কিন্তু কালে লম্বা ডোরা আর কাহারও নাই। সুন্দরবনের ব্যাঘ্র লেজ সমেত ১০১২ ফুট দীর্ঘ এবং ৩৪ ফুট উচ্চ হয়। সাধারণ পূর্ণাবয়ব ব্যাঘ্র ১০ ফুট দীর্ঘ ও ৩ ফুট উচ্চ হয়। ইহাদের সম্মুখের পা দুইটি বেশ মোটা এবং অত্যন্ত সবল, কিন্তু পশ্চাদ্ভাগ দেখিলে তেমন কিছু বোধ হয় না। বড় বাঘে গো-মহিষগুলিকে স্বচ্ছদে স্কন্ধে ফেলিয়া লইয়া যাইতে পারে। ইহাদের মাথাগুলি প্রকাণ্ড ও গোলাকার এবং চক্ষুদ্বয় খুব বড় ও অত্যন্ত উজ্জ্বল। জগতে বোধ হয় এমন কোন জীব নাই যাহারা ইহার চক্ষুর রোষকষায়িত তীব্র দৃষ্টির সম্মুখে পড়িয়া আত্মহারা না হয়। গ্রাম্য বিড়ালের গতিবিধি ও শিকারকৌশল দেখিলে বাঘের প্রকৃতির অনেকটা আভাস পাওয়া যায়। এই জন্য গ্রাম্যলোকে বিড়ালকে “বাঘের মাসী” বলে এবং বৈজ্ঞানিকের ব্যাঘ্রকে বিড়াল শ্রেণীভুক্ত (feline species or cat tribe ) FØR I রাজকীয় ব্যাঘ্র অত্যন্ত রক্তপিপাসু এবং হিংস্র, উহার শিকারের সময়ে অত্যন্ত দুৰ্দ্ধৰ্ষ মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করে। জীবজন্তু মারিয়া ফেলিলে ব্যাঘ্র প্রথমে তাহার স্কন্ধ ভেদ করিয়া যথেষ্ট রক্তপান করিয়া লয়। শিকারের সন্ধানে ইহারা অতি অল্পস্থানে সঙ্গোপনে দেহ লুকাইয়া রাখে এবং সুযোগ পাইবামাত্র ভীম বিক্রমে লম্ফ প্রদানপূর্বক শিকারের উপর পড়ে। বাঘিনী ২ হইতে ৪টি পর্য্যন্ত ছানা প্রসব করে। প্রসবকাল হইতে সে ছানা লইয়া বাঘ হইতে দূরে থাকে। কারণ বাঘে ছানা দেখিলে খাইয়া ফেলে।

সুন্দরবনের প্রধান জন্তু চারিটি ;–ব্যাঘ্ৰ, হরিণ, বন্যশূকর ও বানর। ইহা ব্যতীত পুৰ্ব্বভাগে বন্ত মহিষ এবং দক্ষিণদিকে সমুদ্রোপকূলে গণ্ডার আছে। * কেহ কেহ বলেন সুন্দরবনে গগুীর এক প্রকার নিঃশেষ হইয়াছে। ১০১৫ বৎসর পূৰ্ব্বেও গণ্ডারহত্যার সংবাদ পাওয়া গিয়াছে, কিন্তু যে মারিয়াছিল সে

  • Calcutta Review, Vol. 89 P.299.