পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిy যশোহর-খুলনার ইতিহাস । পূর্বক খায়। হরিণের মাংস খাটি রক্তবর্ণ, উহাতে চরবি খুব কম, খাইতে বিশেষ কোন তৈলাক্ত আস্বাদন নাই। তবে উদর পুরিয়া খাইলেও কোন অপকার করে না এবং “বাসি” করিয়া অর্থাৎ যে দিন হরিণ মারা পড়ে, তাহার ২১ দিন পরেও মাংস ভক্ষণ করা যায়। অনেকে বলেন হরিণের মাংস একটু “বাসি” না হইলে ভাল লাগে না। একটি হরিণে আধমণ হইতে দেড়মণ পৰ্য্যন্ত মাংস হয়। আমাদের দেশে চিরদিনই হরিণের মাংসের আদর চলিতেছে। বীরনৃপতিগণ প্রধানতঃ এই মৃগমাংসের জন্তই মৃগয়া করিতেন। তখন মৃগয়া ক্ষত্ৰিয়ের একটি প্রধান ধৰ্ম্ম ছিল। যাহারা জীবহিংসা করিতে সৰ্ব্বদা বিরত থাকিতেন, তাহারাও মৃগয়া করিতে উদ্যোগী হইতেন। পিতৃশ্ৰাদ্ধাদিতে মৃগমাংসের মত কোন মাংসেরই আদর ছিল না। এখনও র্যাহারা মৃগশিকারের আনন্দানুভব করিয়াছেন এবং মৃগমাংসের স্বাদ গ্রহণ করিয়াছেন, তাহারা বহুকৰ্ম্মের ক্ষতি স্বীকার করিয়াও মৃগশিকারের জন্ত সৰ্ব্বদা চেষ্টত থাকেন। সুন্দরবনের সর্বত্র বন্যপূকর পূর্ণ রহিয়াছে। হরিণ এবং শূকর ব্যান্ত্রের প্রধান খাদ্য। কিন্তু তন্মধ্যে হরিণ শিকার করা কঠিন ; হরিণ বড় চঞ্চল ও সতর্ক ; কোন প্রকার একটু পত্রের মৰ্ম্মর শব্দ হইবা মাত্র সাবধান হয় এবং দৌড়িয়া, লাফাইয়া ব্যাঘ্র কখনও হরিণের সঙ্গে পারে না। এজন্ত যখন অন্ত শিকার জুটে না, তখন শূকরই ব্যাঘ্রদিগের প্রধান অবলম্বন। প্রকাও বরাহ হনন করা যে নিতান্ত সহজ কার্য তাঙ্গ নহে, তবে দুর্দান্ত ব্যান্ত্রের সহিত বরাহ পারে পারে না। এই বরাহগুলি (Sus Indicus) প্রায় ৪৫ ফুট লম্বা হয়, লেজ ১ফুট হইতে পারে, উচ্চতা ৩০ হইতে ৪০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। ইহাদের রঙ, ঈষৎ রক্তাভ কৃষ্ণবর্ণ (brownish black )। ঘাড়ের লোম, বুকের ও পেটের লোম গোড়ায় কালে এবং অগ্রভাগে শাদ হয়। সুন্দরবনের শূকর প্রায়শঃ খুব বড় হয় ; মস্তকের খুলির দৈর্ঘ্য ১৪।১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হয় এবং বড় দন্ত দুইটি ৭ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। আমরা সুন্দরবনে শূকরের খুলি হইতে বাহির করিয়া যে দস্ত সংগ্ৰহ করিয়া ছিলাম, তাহাও ৭ ইঞ্চির কম হইবে না। সুন্দরবনের বানর সাধারণ বঙ্গীয় বানর (Inuus rhesus); हेशंक হনুমান নহে। পূর্ণাবয়বের শরীর প্রায় ২ ফুট দীর্ঘ হয়,লেজ উহার অর্ধেক অপেক্ষ কিছু বেশী। ইহারা অনেক স্থানে কাকে কাকে থাকে এবং স্বজাতির