পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>०२ যশোহর-খুলনার ইতিহাস । কঠিন, সৰ্ব্বদা প্রাণের আশঙ্কা থাকে। জীবজন্তু বা মানুষ সাতার দিয়া নদী বা খাল পার হইতে গেলেও কুমীরের হাতে নিস্তার পাওয়া কঠিন। তবে প্রকাও বাস্ত্রগুলি বিস্তৃত নদীসমূহ আবশুকমত সাঁতার দিয়া পার হইয় থাকে, তাহাদিগকে কুমীরে ধরিয়াছে বলিয়া শুনা যায় নাই। এরূপও শুনা যাইয়া থাকে যে কুমীর তীরে উঠিয়া গরুর দড়ি ধরিয়া জলে পড়ে এবং জল হইতে টানিতে টানিতে গরুকে জলে লইয়া ধরিয়া বসে এবং কখনও বা লেজের আঘাতে মানুষকে ছোট নৌকা হইতে জলে ফেলিয়া দিয়া শিকায় করে। হাঙ্গরও প্রচুর পরিমাণে মুন্দরবনে আছে এবং এমন কি উত্তরদিকে নদীতে অনেক দূর পর্যন্ত অগ্রসর হইয়া লোকালয়ের ভীতিসঞ্চার করিয়াছে। উহার নিঃশব্দে একজনকে ধরে এবং এক প্রকার অজ্ঞাতসারে তাহার হাত পা কাটিয়া লইয়া যায়। বড় হাঙ্গরগুলি ৬৭ হাত দীর্ঘ হয়, দেখিয়াছি। ইহাদের গালে উপরে ২ পাটি ও নিম্নে ১ পাটি মোট ৩ পংক্তি র্দীত। দাতগুলি মাংসের পুটুলি দ্বারা এক প্রকার আবৃত ; এজন্ত হাঙ্গরে যখন কাহারও গাত্রে মুখ দেয়, তখন সে প্রথমে জানিতেই পারে না, পরে চাপ দেওয়া মাত্র অতি সুতীক্ষ দন্তপংক্তি বাহির হইয়া মুহূৰ্ত্ত মধ্যে কঠিন অস্থি পৰ্য্যন্ত দ্বিখণ্ডিত করিয়া ফেলে। হাঙ্গরের মূৰ্ত্তি অনেকট পাঙ্গাস মাছের মত। সুন্দরবনের নদীতে শিশুকের অভাব নাই। অবিরত তাহার। মৎস্ত শিকারের জন্ত জলমধ্যে দৌড়াদৌড়ি করিতেছে এবং মাঝে মাঝে জলের ভিতর হইতে মাথ উচু করিয়া নিশ্বাস ত্যাগের সঙ্গে নাসিকাগর্জন দ্বারা ভীতিপ্রদর্শন করিয়া থাকে। সুন্দরবনের অন্তান্ত বিশেষত্বের মত মৎস্তেরও বিশেষত্ব আছে। সে সকল মৎস্ত অন্যত্র দুষ্প্রাপ্য, এমন কি তাহাদের অনেকগুলির নাম পৰ্য্যস্ত অন্ত স্থানের লোকে জানে না। ভেক্ট বা ভেটুকী এবং গল্প বা গল্দা চিংড়ি বঙ্গোপসাগরের শাখানদীসমূহ হইতে ধৃত হইয়। কলিকাতা প্রভৃতি দূরবর্তী সহরে গিয়া বিক্রীত হয় ; উহা সাহেবগণ এবং সহরবাসী লোকের অতি উপাদেয় খাদ্য। ছোটগুলিকে ভেটুকী বলে এবং খুব বড় আকারের ঐ জাতীয় মৎস্তকে এতদ্দেশে ভ্যাকট বা ভেকটু বলে। সেরূপ মৎস্ত বলেঞ্চ, পসর বা শিবসাতেই পাওয়া যায়। মুন্দরবনের চিংড়ি অনেক প্রকারের আছে, তন্মধ্যে যেগুলি সন্মুখের পদ দুইখানি খুব দীর্ঘ এবং নীলবর্ণ হয়, গুঞ্জী