পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ☾Ꮼ যশোহর-খুলনার ইতিহাস । “কালীঘাট গুহাকালী কিরীটে চ মহেশ্বরী” মহানীলতন্ত্র। “নকুলেশঃ কালীঘট্টে শ্রীহট্টে হাটকেশ্বরঃ ” মহলিঙ্গেশ্বর তন্ত্র । এইরূপে যশোর রাজ্যের পূৰ্ব্বাংশে যমুনাকূলে মায়ের পাণিপদ্ম পতিত হয় এবং তথtয় ভৈরবের নাম চণ্ড । “যশোরে পাণিপদ্মঞ্চ দেবতা যশোরেশ্বরী। চণ্ডশ্চ ভৈরবস্তত্র যত্র সিদ্ধিমবাপ্ল[.gi༢ །།” তন্ত্রচূড়ামণি । এখানে পাণিপদ্মে হস্ত ও পদ উভয় বুঝাইতেছে। আমরা ভবিষ্যপুরাণ হইতে জানিতে পারি – “কলেঃ সায়ং যশোরে চ যবনানাঞ্চ রাজ্যকে যশোরেশী মহাদেবী চান্তধানং ভবিষ্যতি তত্রৈব পতিতে দেব্যাঃ হস্তপদে পুর দ্বিজ ।” “দিগ্বিজয় প্রকাশে” লিখিত আছে যে অনরি নামক ব্রাহ্মণ যশোরেশ্বরীর পীঠমুষ্টির জন্ত একশত দ্বারযুক্ত বিরাট মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন। সম্ভবতঃ এ মন্দির সুন্দরবনের বিপ্লবে অষ্টম শতাব্দীর পর বিনষ্ট হয়। ইহার পর যখন পশ্চিমদেশ হইতে পাল, সেন ও দেব প্রভৃতি বংশীয় অনেক জাতি বঙ্গে আসিয়া নানা স্থানে রাজ্য স্থাপন করিতেছিলেন, সে সময়ে গোকর্ণকুলসস্তৃত ধেনুকৰ্ণ নামক রাজা এদেশে আসেন এবং তিনি তীর্থদর্শন জন্য যশোরে গিয়াছিলেন। তিনি যশোরেশ্বরীর মন্দির বিনষ্ট হইয়াছে দেখিয়া, পুনরায় মন্দির নির্মাণ করিয়া দেন। সম্ভবতঃ ধেনুকৰ্ণ কিছুকাল এ প্রদেশে রাজত্বও করিয়াছিলেন এবং তাহার রাজ্য উত্তর দিকে বহুদূর বিস্তৃত হইয়াছিল। সেন রাজগণের প্রবল প্ৰতাপজন্ত অবশেষে এ বংশীয়দিগের পতন হয়। দিগ্বিজয় প্রকাশেই উল্লিখিত আছে যে ধেনুকর্ণের পুত্র কণ্ঠহার বীরপুরুষ ছিলেন। তিনি “বঙ্গভূষণ’ উপাধিভূষিত ছিলেন। এই বঙ্গভূষণ যশোরের উত্তর ভাঙ্গ