পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জৈন বৌদ্ধ যুগ। ১৭১ অন্তর্ভুক্ত। বর্তমান চব্বিশ পরগণার মধ্যবর্তী বারশত হইতে হাসনাবাদ যাইবার রেলপথের পার্শ্বে দ্বিগঙ্গা নামক একটি স্থান আছে। ইহাকে কেহ দেগঙ্গ, কেহ দ্বিগঙ্গা বলে। সম্ভবতঃ উহা দেবগঙ্গ, দ্বীপগঙ্গ বা দীর্ঘগঙ্গা এইরূপ কোন শব্দের অপভ্রংশ। প্রকাও দীঘি এবং বহুদূর বিস্তৃত ভগ্নস্তুপ মালা এখনও এস্থানের প্রাচীনত্বের পরিচয় দিতেছে। ইহারই নিকটে দেউলিয়ায় চন্দ্রকেতু প্রভৃতি প্রাচীন রাজার কীৰ্ত্তিস্থান। ইহারই দক্ষিণে প্রাচীন বালবল্লভী রাজ্যের রাজধানী বালাগু অবস্থিত। মুসলমান ধৰ্ম্মপ্রচারকগণ এই বিখ্যাত প্রাচীন স্থানে আসিয়া হিন্দুর উপর বহু অত্যাচার করিয়াছিলেন। নিকটবৰ্ত্তী হাড়োয়াতে সেই অত্যাচারী প্রচারকগণের অন্যতম গোরাই গাজীর সমাধি আছে। দ্বিগঙ্গা বীরধৰ্ম্মী সেনবংশীয় কায়স্থগণের প্রথম নিবাস ছিল। ইহার দক্ষিণ রাঢ়ী কায়স্থ ; দ্বিগঙ্গা দক্ষিণরাঢ়ের অন্তর্গত ছিল। এই দীর্ঘ গঙ্গা বা দ্বিগঙ্গা ভাগীরথী তীরে ছিল বলিয়া “বামুকী কুলগাথায়” উল্লিখিত আছে। * ইহা প্রকৃত পক্ষে ভাগীরথীর কুলবর্তী নহে বটে, কিন্তু ইহার ভিতর দিয়া যমুনার পদ্মা নামী এক শাখা প্রবাহিত ছিল। প্রাচীনকালে পদ্মা বা গঙ্গার নামের প্রভেদ লক্ষিত হইত না। মধুমতী নদীরও অপর নাম বড় গঙ্গা উক্ত সেনবংশীয়গণ এক সময়ে প্রবল শক্তিশালী ছিলেন। মুন্দরবনের উত্থান পতনে দ্বিগঙ্গা বাসের অযোগ্য হইয়া উঠিলে তাহারা পূৰ্ব্ববঙ্গে গিয়া বরিশাল ও খুলনা জেলায় রায়েরকাটি, বনগ্রাম প্রভৃতি স্থানে রাজ্য স্থাপন করেন। এখনও তাহারা “দ্বিগঙ্গার সেন” বলিয়া বিশেষ সম্মানিত । এই দ্বিগঙ্গাই ছিল, ‘গঙ্গা রেজিয়া” বা গঙ্গাবন্দর-ইহাই আমাদের বিশ্বাস। প্রাচীন যশোরের কতস্থান যে দেশে বিদেশে আত্মগৌরব প্রতিষ্ঠা করিয়াছিল, তাহার শেষ নাই। বুদ্ধদেবের সমসময়ে গাঙ্গরাঢ় হইতে বিজয়সিংহ তাম্রপণ দ্বীপে গিয়া সিংহল রাজ্য সংস্থাপন করিয়াছিলেন, তাহ পূৰ্ব্বে উক্ত হইয়াছে। সিংহল পুরুষানুক্রমে এই সিংহদিগের অধিকৃত ছিল। মহাবংশ” নামক সিংহল দেশীয় ঐতিহাসিক গ্রন্থে এই উপনিবেশ স্থাপনের বর্ণনা আছে। বাস্তবিকই, 豪 》咎8 ឡូម៉ា | - S DDD DDDD DDDD BBtD DBBB SBBD DDBB BBB SBSBBB BBD DBBttS BBBB BBBD DDDD DDDDDBBBBBBBD DDDDS