পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Уbro যশোহর-খুলনার ইতিহাস। o প্রধান স্থান ছিল। এখানে এখনও শিবচতুর্দশীর দিন বহু যাত্রীর সমাগম হয়। এখানে শিবের মন্দির নাই, লিঙ্গমূৰ্ত্তি পুষ্করিণীর জলমধ্যে নিমগ্ন আছে। শিব চতুর্দশীর দিন উপরে উঠান হয়। এই পুষ্করিণী হইতে যমুনাতট পর্যন্ত এক মাইল পথের দুই পার্থ নানা ইষ্টকস্তুপ ও প্রাচীন ভিত্তিচিহ্নে পূর্ণ দেখিতে পাওয়া যায়। বারবাজার প্রভৃতি স্থানে আরও কত শিবমন্দির ছিল, তাহা জানি না। মুসলমান বিজয় কালে হিন্দুর কত মন্দির যে কাল-কবলিত হইয়াছিল, তাহ এক্ষণে স্থির করিবার উপায় নাই। এইযুগে সমতট ও কলিঙ্গের কত স্থান হইতে কত লোক সমুদ্রপথে বালী, লম্বক, সুমাত্র প্রভৃতি দ্বীপে গিয়া শৈবমত প্রচার এবং বহু সংখ্যক শিবমন্দির প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। এই নব মত ঔপনিবেশিক বাঙ্গালীর শক্তিবৃদ্ধি করিয়াছিল। শিবের লিঙ্গমূৰ্ত্তি সব জাতীয় লোকে স্পর্শ করিতে বা পূজা করিতে পারে, শিবপূজা সকলের কৰ্ত্তব্য, ইহাতে অধিকারী ও অনধিকারীর ভেদ নাই, দীক্ষিত না হইলেও বালক বালিকায়ও ইচ্ছামত জলে, ফুলে, বিল্বদলে শিবপূজা করিতে পারে—এই উদার পদ্ধতি হিন্দু বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের সমন্বয় করিয়া দিয়াছিল। ক্রমে ক্রমে এ অঞ্চলে লোকে এত শৈব-মতালম্বী হইয়াছিল যে সকলে শিবপূজা করিত, শিব কথা কহিত, শিব গীত গাহিত, এবং শিবের তত্ত্বকথা এমন ভাবে সকল বর্ণে প্রবেশ লাভ করিয়াছিল যে “ধান ভালুতে শিবের গীত”—এ দেশের একটি প্রবাদবাক্য হইয়া রহিয়াছে। এই ভাবে দেখিতে পাই গুপ্ত রাজগণের ও শশাঙ্কের রাজকীয় ও ধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় প্রাধান্ত সমতটের সর্বত্র প্রসার লাভ করিয়াছিল। গুপ্ত সম্রাটুদিগের তান্ত্রিকতা র্তাহীদের সকল কার্য্যে প্রতিফলিত হইত, তাহাদের প্রচলিত মুদ্রাতেও ইহ প্রকটিত হইয়াছে। চন্দ্রগুপ্তের মুদ্রায় সিংহবাহিনী দেবীমূৰ্ত্তি ছিল, সমুদ্র গুপ্তের মুদ্রায় যজ্ঞাশ্বের প্রতিকৃতি আছে। যশোহর জেলায়ও ইহাদের মুদ্রা পাওয়া গিয়াছে। কতদূর তাহাদের রাজ্য বিস্তৃত হইয়াছিল, ইহা হইতেও তাহা একপ্রকারে সপ্রমাণ হইতে পারে। ১৮৫২ খৃষ্টাব্দে যশোহর জেলার উত্তরাংশে মহম্মদপুরে এলেংখালি বা মধুমতী নদীর সন্নিকটে একটি কূপখনন কালে এক ব্যক্তি মৃৎপাত্রে কতকগুলি মুদ্র প্রাপ্ত হয়। ঐ মুদ্রাগুলি তৎকালীন যশোহরের ম্যাজিষ্ট্রেট F. L. Bea০fort সাহেবের হস্তে পড়ে। তিনি তাহা ।