পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిఫి যশোহর-খুলনার ইতিহাস। পরাজিত করিয়াছিলেন।* কিন্তু তিনি যে যুদ্ধান্তে রাজ্যমধ্যে অগ্রসর হইয়া রাজ্যশাসন করিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন, এমন কোন প্রমাণ নাই। স্থির জলাশয়ে লোষ্ট্রনিক্ষেপবৎ এইরূপ রাজ্যজয়ের ফল অধিক কাল স্থায়ী হইত না। প্রকৃত পক্ষে যে মাৎস্ত-স্তায় দূরীভূত করিবার জন্য প্রজাগণ গোপালকে সিংহাসনে বসাইছিল, সে মাৎস্ত-স্তায় যায় নাই। দেবপাল পর্যন্ত দেশে কতকটা শান্তি থাকিলেও তাঁহার পর হইতে শাসনের ফল আর অনুভূত হয় নাই। নানাস্থানে নানাবংশীয়ের বিভিন্ন রাজ্য সংস্থাপন করায় প্রজাবৰ্গ সৰ্ব্বদা সুবিধামত পক্ষ অবলম্বন করিয়া কাৰ্য্যতঃ এক প্রকার স্বাধীনভাবে বাস করিত। গৌড় বা মগধে ভূপাল মহীপাল যিনিই রাজা হন, তাহাতে তাহদেয় কিছু আসিয়া যাইত না । তাহারা পাল বা সেন, ইছাই ঘোষ বা গোবিন্দচন্দ্র সকলের রাজদগুলাভে সম্মতি দিয়া স্বকীয় স্বার্থে কৃতপ্রযত্ন হইত। দেশের এই অবস্থা শোচনীয় । সমতটের এবং তদন্তৰ্গত যশোর-খুলনার অবস্থা আরও ভীষণ। যদিও দক্ষিণাংশে অনেক স্থল তখনও জলমগ্ন ছিল, তবুও উত্তরাংশে ইহার বিস্তৃতি নিতাস্ত কম ছিল না। নদনদীবেষ্টিত এই রাজ্যে রীতিমত রাজ্যশাসন না থাকায়, নানা দস্থাদুৰ্ব্বত্তের অত্যাচার হইয়াছিল। নানাজনে নানাস্থানে রাজা বলিয়া পরিচয় দিয়া দশের উপর অত্যাচার করিয়া আত্মপোষণ করিত। দুই চারিখানি গ্রাম লইয়া এইরূপ এক এক রাজচক্রবর্তী জাগিয়া উঠিত। রাজবাড়ী ব! রাজপটে দেশ ভরিয়া গিয়াছিল। যদি পরবৰ্ত্তিকালে বিপ্লবের পয় বিপ্লবে এই সকল স্থান ধ্বসিয়া বসিয়া ধ্বংস প্রাপ্ত ন হইত, তাহা হইলে ইতিবৃত্ত-বিহীন কত ভগ্নাবশেষ যে তত্ত্বায়ুসন্ধিৎসুকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিত, তাহ বলা যায় না । - মহীপালের সময় তিব্বংদেশে নিম্প্রভ বৌদ্ধধৰ্ম্মের পুনরুখান জন্ত মহাপণ্ডিত ধৰ্ম্মপালকে পাঠান হয়, কিন্তু মহীপালের পুত্র দ্যায়পালের রাজত্বকালে দীপঙ্কর অতীশ গিয়া সে কার্য সুসম্পন্ন করেন। তায় পালের পর আরও অনূন ৯ জন পালরাজ রাজত্ব কবেন, কিন্তু সেন রাজগণের বন্ধিত প্রভাবে তাহাদের রাজ্যসীমা ক্রমেই সস্কুচিত হইয়া আসিতেছিল। উক্ত ৯ জনের মধ্যে কুমারপালের • Epigraphia Indica vol. IX pp 2323, c*\yntaxtni, •» •;: 1 -