পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাৎস্য-স্যায় । సిరి নাম প্রসিদ্ধ। র্তাহার মন্ত্রী ছিলেন বৈদ্যদেব। এই সময়ে দক্ষিণ বঙ্গে এক ভীষণ বিদ্রোহ উপস্থিত হয়। দক্ষিণ বঙ্গ বলিতে তখন কতদূর বুঝাইত এবং যশোহর-খুলনার লোক এ বিদ্রোহে লিপ্ত ছিলেন কি না, তাহা নির্ণয় করিবার উপায় নাই। বৈদ্যদেবের কমেলি তাম্রশাসন হইতে জানা যায় যে, তিনি নদীবহুল দক্ষিণবঙ্গের বিদ্রোহিগণের সহিত জলযুদ্ধে বিজয়লাভ করিয়াছিলেন এবং তাহার নৌবাহিনীর বিজয়োল্লাসরবে (“নোবাট হীহী রব”) দিকসমূহ সম্বন্ত হইয়াছিল। * ইহা হইতে অনুমান করা যায়, সমতট তখনও কুমারপালের অধীন ছিল এবং তথাকার সামন্ত রাজগণ নৌযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শন করিতেন। এ দিকে গোবিন্দচন্দ্র বা গোপীচন্দ্র হাড়িপা নামক ডোমজাতীয় এক যোগীর নিকট ধৰ্ম্মদীক্ষা গ্রহণ করিয়া চিরজীবনের মত দেশত্যাগ করিলে, তাহার পুত্র ভবচন্দ্র রাজা হইলেন । ইহার এক মন্ত্রী ছিলেন, তাহার নাম গবচন্দ্র । डेडग्नई ममान भूर्भ। उदञ्ज ब्राखांद्र श्रदय मग्नौ-७३ छैडब्लब निर्सक्रिडांद्र অসংখ্য গল্প বরেন্দ্রপ্রদেশে প্রচলিত আছে। তাহাদের সবই অদ্ভুত ; রাজার আদেশে প্রজার দিনে নিদ্রিত থাকিয়া রাত্ৰিতে কাৰ্যকৰ্ম্ম করিত, এরূপও শুনা যায়। রাজা ও মন্ত্রীর নিরেট মস্তিষ্কে যখন যে খেয়াল উঠিত, তাহাই পালন করিতে গিয়া প্রজার দুর্দশার সীমা ছিল না। এমন রাজাকে প্রজারা কতকাল কিরূপভাবে মান্ত করে, তাহ সহজবোধ্য। ভবচন্দ্র শুধু একজন নয়, বঙ্গদেশের নানাস্থানে তখন বহু ভবচন্দ্রের উদয় হইয়াছিল। ফল হইয়াছিল—দেশময় এক অরাজকতা ; তাহার ঢেউ যে যশোহর-খুলনা झबिउ করিয়া সমুদ্র সীমান্ত হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। এ অরাজকতার যুগে আমাদের প্রস্তাবিত যশোহর-খুলনার যেখানে সেখানে নানা ক্ষুদ্র রাজার আবির্ভাব হইয়াছিল। তাহার অধিকাংশ নিদর্শন কাল প্রভাবে বিলুপ্ত হইয়াছে। যশোহরের উত্তরে ও পশ্চিমে কয়েক স্থানে কৈবর্তগণ রাজত্ব করিতেন। লোকে বলে যাদব রায় নামফ এক কৈবৰ্ত্তরাজ যাদবপুর স্থাপন করেন। কলারোয়া থানার মধ্যে ধানদিয়ার সন্নিকটে মানিম্বরে এক তিস্থর রাজা রাজত্ব করিতেন। তাহার দুর্গ, গড়খাই এবং অনেকগুলি দীঘির চিহ্ন

  • গৌড় লেখমালা, ১ম স্তবক, ১৩•, ১৪• পূঃ।

ર૬