পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেন রাজত্ব । ২২৩ দিগ্বিজয়প্রকাশে বিবৃত হইয়াছে যে, মহারাজ লক্ষ্মণসেন যশোরেশ্বরীর মন্দিরসন্নিধানে চণ্ডভৈরবের এক মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেন। বর্তমান সময়ে ৬যশোরেশ্বরী মায়ের মন্দিরে যে চণ্ডভৈরবেৰ বাণলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত আছে, উহাও ঐ সময়ে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল কিনা বলা যায় না। যেখানেই কোন কারণে লক্ষ্মণসেনের সম্বন্ধ ঘটিয়াছিল, সেখানেই তিনি কোন দেবমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা দ্বারা সে সম্বন্ধ চিরস্মরণীয় করিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। সম্ভবতঃ তিনিই ঐ স্থানে এক পৃথক্ মন্দিরে একটি গঙ্গামূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়া যান। সুন্দর বনের বিপ্লবে যশোরেশ্বরীর প্রতিমার মত সে মূৰ্ত্তিও জঙ্গলের মধ্যে জঙ্গলাবৃত হইয়াছিল। প্রতাপাদিতোর সময় উভয় মুক্তি আবিষ্কৃত হয়। পুরাতন যশোরেশ্বরী দেবী সত্যযুগ হইতে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন বলিয়া লোকে তাহার কথা জানিত । গঙ্গামূৰ্ত্তি আবিষ্কারের পর তেমন পরিচিত হয় নাই। সুতরাং উহা প্রতাপদিত্যের প্রতিষ্ঠিত বলিয়া প্রকাশিত হইয়াছিল। এমন কি পুনরায় বিপ্লবের মধ্যে উহা কিছুকাল অদৃষ্ট অবস্থায় ছিল বলিয়া লোকে সে গঙ্গামূৰ্ত্তির নাম পৰ্য্যন্ত ভুলিয়া গিয়া তাহাকে অন্নপূর্ণ দেবী স্থির করিয়া লইয়াছিল। পররক্তি যুগের দলিলপত্রে এই অন্নপূর্ণ নামই প্রচলিত হইয়া আসিতেছে। এ মূৰ্ত্তি অতি সুন্দর ; যে অপূৰ্ব্ব ভাস্কর-শিল্প এই মূৰ্ত্তি গড়িয়াছিল, পাঠান আমলের তামসযুগে তাহার কোন চর্চা না থাকায়, পরবর্তী আমলে এমন প্রতিমা প্রস্তুত করা অসম্ভব হইয়াছিল। এই মকরবাহন, মাল্যহস্ত দেবীর দেহভঙ্গিমা অতীব মধুর এবং তাহার সুন্দর মুখমণ্ডল হইতে যে দিব্যলাবণ্যপ্রভ বিকীর্ণ হইতেছে তাহাও অতুলনীয়। আমাদের মনে হয়, এই অপূৰ্ব্ব মূৰ্ত্তি সেনরাজত্বেরই সম্পত্তি। দুঃখের বিষয় গঙ্গাদেবী অন্নপূর্ণ নামে পূজিত হইতেছেন এবং তাহার দেবোত্তর সম্পত্তিও সেই নামে চলিয়া আসিতেছে। * যশোহর-খুলনার সহিত সেন-রাজগণের আরও সম্বন্ধ ছিল। পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, এই যুক্ত জেলা এক্ষণে যে স্থান অধিকার করিয়াছে, তাহ পূৰ্ব্বে বাগড়ী রাজ্যের অন্তভুক্ত ছিল। বল্লাল সেনের সমগ্র রাজ্য পাঁচটি প্রধান ভুক্তি’ বা প্রদেশে বিভক্ত ছিল, যথা :-বঙ্গ, মিথিলী, বরেন্দ্র, রাঢ় ও বাগড়ী ; মিথিলার পূর্বনাম তীরতুক্তি। এই ভুক্তিগুলি পুনরায় ‘মণ্ডল’ বা মণ্ডলিকায় বিভক্ত ছিল। 率 ــ۹، دvri2| দেখুন।