পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৩ যশোহর-খুলনার ইতিহাস । গ্রৈবেয়াষ্ঠৈ বিনমিততমুং ভাবয়েচ্ছক্তিমাছাং। চামরাদশ-তাম্বুল-করওক-সমুদগকান্‌। বহন্তীভিঃ কুচার্তাভি দূতীভিঃ পরিবারিতাং। করুণামৃতবর্ষিন্ত পশুন্তীং সাধকং দৃশ । এই মূৰ্ত্তি প্রথমতঃ সুবিখ্যাত কালিদাস রায়ের সময়ে এক পুষ্করিণী খনন কালে প্রাপ্ত হওয়া যায়। কালিদাস প্রতাপাদিত্যের অন্ততম সেনানী ছিলেন । তিনি এই মূৰ্ত্তির দেবতা নির্ণয় করিবার জন্য প্রতাপাদিত্যের আশ্রিত ধলবাড়িয়ার প্রসিদ্ধ ভট্টাচার্যাদিগের জনৈক সুবিজ্ঞ পণ্ডিতকে আনাইয়া মূৰ্ত্তির ধান ও পূজা পদ্ধতি স্থির করেন এবং মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেবী প্রতিষ্ঠা করেন। বহুদিন পর্য্যন্ত এ অঞ্চলের জমিদারী তদ্বংশীয়দিগের হস্তে ছিল। পরে নবাব সরকারে তাহাদের খাজনা বাকী পড়িলে উহা পরিশোধ করিয়া দিয়া চাচড়ার রাজা মনোহর রায় ১৬৯০ খৃষ্টাব্দে ইহা স্বীয় জমিদারী ভুক্ত করিয়া লন। শতাধিক বৎসর যাবৎ পূজার ব্যবস্থাদি চাচড়ার রাজগণের দ্বারা হইয়াছিল। পরে ১৭৯৭ খৃষ্টাব্দে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে এ প্রদেশ বাকী খাজনার নিলামে চাঁচড়ার হস্তচু্যত হয় এবং কলিকাতার স্বপ্রসিদ্ধ ঠাকুর বংশের পূর্বপুরুষ vগোপীমোহন ঠাকুর উহা খরিদ করেন। তিনিই ভুবনেশ্বরীর বর্তমান মন্দির ও বেষ্টন প্রাচীরাদি নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন। কিন্তু সে মন্দির এক্ষণে জরাজীর্ণ, দরজা জানাল ভাঙ্গিয়া গিয়াছে, প্রাচীরের খিলান ফাটিয়া গিয়াছে, মন্দিরের ভিতরের অবস্থা অতি শোচনীয় হইয়াছে, মন্দিরপ্রাঙ্গণ জঙ্গলাকীর্ণ হইয়া পড়িয়াছে। সেখহাটি এক্ষণে নড়াইলের বাবুদিগের জমিদারীর অধীন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তাহার এ মন্দিরের সংস্কার জন্ত কিছু মাত্র মনোযোগ করিতেছেন না। দেবীর নিত্য পূজার অতি দীন ব্যবস্থা আছে। এখনও দেবীর পূজাদিতে রায়বংশীয়দিগের নামে সংকল্প করা হইয়া থাকে। আমরা এই প্রাচীন কীৰ্ত্তিরক্ষার দিকে কীৰ্ত্তিমান, কৃতবিদ্য ও হৃদয়বান্‌ নড়াইলের জমিদার বাবুদিগের কৃপাদৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি । গত ১৯১১ খৃষ্টাব্দে ঢাকায় দালবাজারে লক্ষ্মণসেনের সময়ে নিৰ্ম্মিত চওঁী দেবীর পাদদেশে একটি শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে। ঐযুক্ত রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় মহাশয় তাহার “লক্ষ্মণসেন” শীর্ষক প্রবন্ধের সহিত ঐ মূৰ্বি ৫