পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৬ যশোহর-খুলনার ইতিহাস। এই কথা দেশী বিদেশী শত লেখনীমুখে চৰ্ব্বিতচর্মণে এমনভাবে এই বাঙ্গালীর কলঙ্ক দ্বারে দ্বারে ছড়াইয়া দিয়াছে, যে কোন প্রাদেশিক ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করিতে গেলেও এ সম্বন্ধে নিৰ্ব্বাক্ থাকা যায় না । সম্প্রতি সেনরাজগণের যে সকল তাম্রশাসন ও শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহার আলোকপাতে এই একমেবাদ্বিতীয়ং বৃদ্ধ সৈনিকের রঞ্জিত বর্ণনা বিচারসহ হয় না ; * এবং সে বর্ণনা বর্ণে বর্ণে বিশ্বাস করিলেও বৃদ্ধ লক্ষ্মণসেনের কাপুরুষতা সপ্রমাণ হয় না। { হয়ত লক্ষ্মণসেন পলায়ন করিয়াছেলেন ; যেমন তিনি জীর্ণতনু লইয়া বৃদ্ধ হিন্দুর মত রাজ্যত্যাগ করিয়া গঙ্গাবাসের জন্য গৌড় হইতে নবদ্বীপে পলায়ন করিয়াছিলেন, তেমনই মুসলমান আক্রমণের প্রাক্কালে অদৃষ্টভাত স্বজন ও অমাত্য কর্তৃক পরিত্যক্ত হইয়া, স্বল্প প্রহরি-বেষ্টিত একপ্রকার অরক্ষিত রাজপ্রাসাদ পরিত্যাগ করিয়া জগন্নাথযাত্রা করিতে পারেন ; কিন্তু তখন তিনি প্রকৃতপক্ষে বঙ্গাধিপ ছিলেন না, এবং তাহার পলায়নে বঙ্গদেশ বিজিত হয় নাই ; একবার যেমন মহম্মদ খিলিজী মগধে ওদন্তপুরীতে বৌদ্ধবিহার লুণ্ঠন করিয়া অবশেষে কিল্লা ফতে করিবার ভুল বুঝিয়া ছিলেন, এবারও তেমনই লক্ষ্মণসেনের পরিত্যক্ত নোদিয়া রাজপুরী লুণ্ঠন করিয়া দেখিলেন, এখানে রাজধানী নাই। ওদন্তপুরীর মুণ্ডিতশীর্ষ শ্রমণের পরিবর্তে এখানে চতুর্দিকে শিখাতিলকসম্বলিত ব্রাহ্মণেরই বাস এবং তাহারাও অধিকাংশ পলায়িত। যদি নবদ্বীপেই রাজধানী থাকিবে, তবে মুসলমানেরা এখানে কোন শাসনকেন্দ্র করিলেন না কেন ? নদীয়ালুণ্ঠনের পর মহম্মদ গোঁড় যাত্র করেন। সম্ভবতঃ ১২০০ খৃষ্টাব্দে • ঐঅক্ষয় কুমার মৈত্রের, “লক্ষ্মণসেনের পলায়নকলঙ্ক" প্রবন্ধ, প্রবাসী ১৩১৪, অগ্রহায়ণ । + cशौढ़ ब्रांखभाल १७-१ शृः ইযুক্ত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন যে ১১৭• খৃঃন্ধের পরে লক্ষ্মণ সেন জীবিত ছিলেন না। ডাক্তার কিলহৰ্ণ প্রথমতঃ এই মতাবলম্বী ছিলেন, পরে তাহা পরিত্যাগ করেন। রাখাল বাবু কুলগ্রন্থ ও দ্বানসাগরাদি গ্রন্থের উপর আস্থা স্থাপন ন। করিয়া দুই এক থানি খোদিত লিপির অস্পষ্ট উক্তি হইতে এই ব্যাখ্যা করিয়াছেন। প্রবাসী, ১৩১৯, শ্রাবণ, ৩৯৮ পূঃ ] তাহার মত সত্য হইলে লক্ষ্মণ সেনের পলায়নকাহিনী प्लेक्नुिश श्हेप्टरु ।