পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৮ যশোহর-খুলনার ইতিহাস। রাজত্ব করিয়াছিলেন বলিয়া বোধ হয়। * অনুমান হয়, এই সময়েই সুন্দরবন অঞ্চলে জলবিপ্লব হইয়াছিল এবং তাহাতে এ প্রদেশ বাসের অযোগ্য হইলে কেশব সেন বিক্রমপুরে চলিয়া যান। । তথায় বিশ্বরূপ সেন স্বাধীনভাবে রাজত্ব করিতেছিলেন। মুসলমানেরা গৌড় অধিকার করিবার পর কয়েক বৎসর চেষ্টা করিয়া রাঢ়ের কতকাংশ মাত্র স্বায়ত্ত করিয়াছিলেন। সেখানে লক্ষ্মেীর তাহদের রাজধানী হয় এবং উহাই তাহাদের দক্ষিণ সীমা ছিল। বহু বৎসর কাল পাঠান রাজ্য গৌড় হইতে লক্ষোর পর্য্যন্ত সংকীর্ণ ভূভাগে আবদ্ধ ছিল। পূৰ্ব্ববঙ্গে তাহারা অগ্রসর হইতে পারেন নাই। সেখানে বীরন্থপতি বিশ্বরূপ পাঠানের সমস্ত অভিযান ব্যর্থ

  • শ্ৰীযুক্ত পরেশনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাস করেন যে খুলনা জেলায় উজিরপুর অঞ্চলে কেশব সেনের রাজবাট ছিল (বাঙ্গালার পুরাবৃত্ত, ৩২৭ পৃ: ) কিন্তু তিনি জানেন না যে উঞ্জিরপুর খুলনায় নহে, যশোহরে এযং তথায় কেশব সেনের রাজবাটা ছিল না, এক দাম্ভিকপ্রকৃতিক রাজা কেশব ঘোষের রাজবাট ছিল । আমরা যথ স্থানে তাহার উল্লেগ করিব ।

+ কেশব সেনের ইদিলপুর তাম্রশাসনে যে গ্রাম শ্রুতিপাঠক বাৎস্তগোত্রীয় ঈশ্বর শর্মাকে প্রদত্ত হইয়াছিল, উহার পুৰ্ব্ব সীমা দ্বীগ্রাম, দক্ষিণে শঙ্করপাশ গোবিন্দকেলিনী ভূঃ সীমা, পশ্চিমে শঙ্করগ্রাম এবং উত্তরে বাগুলী বিভগদী বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছে। এই স্থান যশোহর জেলার অন্তর্গত বর্তমান বাঘুটিয়া বিভাগদির সন্নিকটবর্তী তালতলা বা অন্ত কোন গ্রাম বলিয়া বোধ হয়। প্রশস্তিখানির এইস্থানে সম্পূর্ণ পাঠোদ্ধার হয় নাই। অজন্ত গ্রামের নাম “ভালপড়া পাটক” ছিল কিন, জানা যায় না। তবে এই প্রথম যে “পলাশতালা সগুবাক নালিকেল", তাছাতে সন্দেহ নাই। ইহার নিকটে শঙ্করপাশ আছে, পার্থে গোবিন্দপুর লক্ষ্মীপুর আছে ; নিকটবৰ্ত্তী বৰ্ত্তমান দেপাড়া বা দেয়াপাড়া দ্বীগ্রাম হইতে পারে, সেখহাটিকে আমরা শঙ্করগ্রাম বলিয়া অনুমান করিয়াছি। মদন পাড়ে বিশ্বরূপ সেনের ( কেশব সেনের ?) তাম্রশাসন আবিস্কৃত হইয়াছে, তাহাতে ও এই ঈশ্বর শর্মার ভ্রাতা বিশ্বরূপ শৰ্ম্মাকে ফরিদপুর কোটালিপাড়ার অন্তর্গত পিঞ্জকাষ্ঠী (বৰ্ত্তমান পিঞ্জারি ) গ্রাম প্রদত্ত হইয়াছিল। সম্ভবতঃ কেশব সেন গোঁড় হইতে বিতাড়িত হইয়া প্রসিদ্ধ সেখহাটিতে কিছুকাল রাজত্ব করেন। তখন রাজত্বের তৃতীয়বর্ষে শ্রুতি পাঠক ঈশ্বর শর্থীকে যশোহরান্তর্গত উপরোক্তস্থান প্রদান করেন। পরে হঠাৎ এইস্থান হইতে প্লাবনাদিঞ্জস্য বা অন্তকারণে বাসত্যাগ করিয়া ঈশ্বরের ভ্রাতা বিশ্বরূপ ফরিদপুরে কোটালীপাড়ে বসতি করেন, তখন তিনি কেশব বা তাহার ভ্রাতা বিশ্বরূপ সেনের নিকট হইতে তথায় একখানি গ্রাম প্রাপ্ত হন ।