পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । & বিক্রমাদিত্যের রাজত্ব কালে প্রথম যশোহর’ নাম হয়। যশোরে বনস্থলী আবাদ করিয়া তথায় নগরী স্থাপনাকালে প্রতাপাদিত্যের খুল্লতাত সুকবি বসন্তরায় বাশারকে যশোহর করিয়াছিলেন, ইহাই বিশ্বাসযোগ্য এবং এইরূপ প্রবাদও প্রচলিত রহিয়াছে। বঙ্গের শেষ পাঠান নৃপতি দায়ুদসাহ মোগল কর্তৃক পরাজিত হইয়া পলায়ন করিবার সময় রাজধানী গৌড় ও তাণ্ডার অধিকাংশ রাজকীয় ধনরত্ব বিক্রমাদিত্যের হস্তে সমর্পণ করেন। কেহ কেহ এইরূপ অনুমান করেন যে নবপ্রতিষ্ঠিত যশোরনগরী এইরূপে গৌড়ের যশঃ হরণ করে বলিয়াই উহার নাম হইয়াছিল— যশোহর। * আবার কেহ বলেন যে গৌড়ের সহিত তুলনা না করিয়াই কোন ব্যক্তি এ রাজ্য “অত্যধিক যশস্বী”—এই অর্থে “যশোহর” নাম দিয়াছিলেন। { কিন্তু যশোহর নাম নূতন দেওয়া হয় নাই। পূৰ্ব্বে ইহার একটা নাম ছিল এবং সে নাম যশোর। রামরাম বসুর মতে “দক্ষিণ দেশে যশহর নামে এক স্থান” ছিল। যাহা হউক, এই নাম যশোর বা যশোহর’ যাহাই থাকুক, উহাতে বিশেষ অর্থ হইত না। এজন্ত বিক্রমাদিত্যের রাজত্বকালে উহাকে বিশুদ্ধ ও অর্থসঙ্গত করিবার জন্যই উহার যশোহর’ এইরূপ নামকরণ হইয়া থাকিবে। তখন হইতে পণ্ডিত ও কুলাচাৰ্য্যগণের উক্তিতে যশোহর নাম দেখা যায়। ; তবুও তদবধি যশোর ও যশোহর শব্দ একই অর্থে ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে। প্রতাপের পতনের পর বিজয়ী মানসিংহ বসন্তরায়ের পুত্র কচুরায় বা রাঘবকে যশোরজিৎ উপাধি দেন। অল্পদিনে তাহার রংশীয়গণের রাজত্ব ফুরাইলে, যশোর রাজ্যশাসনের জন্য একজন ফৌজদার নিযুক্ত হন। উহাকে যশোরের ফৌজদার বলিত। তিনি স্বাস্থ্যহানির ভয়ে মুন্দরবন অঞ্চল ত্যাগ করিয়া, কপোতাক্ষ-কুলে ত্রিমোহিনীতে বাস করেন। এই সময়ে চাচড়ার রাজা মনোহর রায় যখন ক্রমে

  • হরিশ্চন্দ্র তর্কালঙ্কার-কৃত "প্লাজ। প্রতাপাদিত্য চরিত।”
  • “It was intended to express the idea “Supremely glorious" West-land's Report of Jessore, p. 23.

পণ্ডিত-রচিত কবিতাঞ্জ — “যশোহরপুরী কাশী দাধিক মণিকর্শিকা।” ঘটক কারিকায়—“সেনাপতিরূপ স যশোহরন্থরক্ষ4i i" अछज-“ब्रांखविमानन (शोफ़ां९ शरणाझ्द्रः श्रृंभtभडः ”