পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ-খী জাহান আলী। পাঠান কর্তৃক বঙ্গবিজয়ের পূর্ব হইতেই মুসলমান দরবেশগণ ধৰ্ম্মপ্রচারার্থ বঙ্গদেশে আসিতেছিলেন। খৃষ্টীয় মিশনরী বা ধৰ্ম্মযাজকগণ যেমন ইংরাজ, ফরাণী প্রভৃতি জাতির পক্ষে রাষ্ট্রবিজয়ের পথ পরিষ্কার করিয়া দিয়াছিলেন, এই মুসলমান আউলিয়া বা ফকিরগণও সেইরূপ মুসলমান প্রতিপত্তির ভিত্তি পত্তন করেন। আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি লক্ষ্মণসেনের রাজত্বকালে সাহ জালাল উদ্দিন তাত্রেজী বঙ্গে আসিয়া চিরস্কৃণিত মুসলমানের জন্তও হিন্দুর নিকট হইতে ভক্তি-শ্রদ্ধা অর্জন করিয়াছিলেন। ইনি একজন প্রসিদ্ধ বুজরুক অর্থাৎ ঐশ্বরিক শক্তি দ্বারা অদ্ভূত কাৰ্য্য সম্পাদনে সক্ষম ছিলেন। সেই অদ্ভূত ক্ষমতাকে বুজরুকী বলিত এবং উহা আধ্যাত্মিক উন্নতির পরিচায়ক ছিল। লক্ষ্মণসেনের সঙ্গে যখন জালালউদ্দীনের প্রথম সাক্ষাৎ, তখন তিনি দেখিলেন সেই দুৰ্ব্বেশ (দরবেশ) জলের উপর দিয়া হঁটিয়া নদী পার হইতেছেন। দরবেশ আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “তুমি কে?” গৰ্ব্বিতভঙ্গিতে লক্ষ্মণসেন আত্মপরিচয় দিলেন। ফকির বলিলেন, "আচ্ছ, তুমি বলিতেছ পৃথিবীর রাজা ; ঐ যে বক মৎস্ত ধরিয়া বসিয়া আছে, তাহাকে মৎস্ত পরিত্যাগ করিতে বল, সে অবশু রাজার কথা শুনিবে।” লক্ষ্মণ বলিলেন “বক তিৰ্য্যকৃযোনি, জ্ঞানহীন, সে আমার কথা শুনিবে কেন ? তোমার ক্ষমতা থাকে, উহাকে আদেশ কর।” ফকির বককে মৎস্ত ত্যাগ করিতে আদেশ করিবামাত্র সে তাহা ত্যাগ করিয়া উড়িয়া গেল। লক্ষ্মণসেন অবাক্ হইয়া রহিলেন, ভাবিলেন ইন্দ্রদেব এই দরবেশ আকৃতি ধারণ করিয়া আগমন করিয়াছেন। * এই যে ঝঙ্কার লাগিল, তাহাতে মহম্মদ-ই-বক্তিয়ারের অসি অপেক্ষাও অধিক শক্তি দেখাইয়া ছিল। হিন্দু চিরকাল আধ্যাত্মিক শক্তির নিকট দাসামুদাস ; ঈশ্বরে প্রগাঢ় নির্ভরতা জাগিলে সে শক্তি সৰ্ব্বধৰ্ম্মীতে জাগে। মুনি-ঋষি এই শক্তিতে হিন্দুরাজ্য জয় করিয়াছেন,

  • حصات جسمی تماعی-سیار

S SSDBBBBB BBBB BBBBSBBBBDDS BBDS BAAAS AAAA S