পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খ জাহান আলী। ՀԵ՞Տ) মুসলমান দরবেশও এই শক্তিবলে সেই হিন্দুর রাজ্যে ইসলামধৰ্ম্মের বিজয়পতাকা সংস্থাপন করিয়াছিলেন। এই সাহ জালালউদ্দীন শেষে এইরূপ বহু বুজরুকী দেখাইয় নবধৰ্ম্মের মাহাত্ম্য প্রতিষ্ঠা করিয়া গিয়াছিলেন। ক্রমে পাঠানের যত দেশ জয় করিয়া যেখানে সেখানে রাজপাট বসাইতে লাগিলেন, তত এই রূপ দরবেশগণ এদেশে আসিতে লাগিলেন। হিন্দুরা ধৰ্ম্মের খাতিরে র্তাহাদিগকে নিৰ্য্যাতন করিতে ছাড়েন নাই, কিন্তু দরবেশগণও নিৰ্য্যাতনের মধ্যে সহিষ্ণুতা দেখাইয়া স্বধৰ্ম্মপ্রচারের জন্ত জলন্ত স্বাৰ্থত্যাগর দৃষ্টান্ত দেখাইয়া গিয়াছেন। র্তাহীদের সেই আত্মবলিদানের উপর আজ ইসলামধৰ্ম্মের বিজয় বৈজয়ন্তী উড়িতেছে। খৃষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীতে এইরূপ বহু দরবেশ বঙ্গদেশে আসিয়াছিলেন। তাহার মধ্যে ঢাকার বাবা আদম ও শ্রীহট্টের সাহজালালের নাম বিখ্যাত। এই সকল দরবেশগণ এত অধিক শিষ্যপরিবৃত হইতে হইতে অগ্রসর হইতেন যে তাঙ্গীদের শিষ্যসম্প্রদায় সৈন্তশ্রেণীর মত বোধ হইত। দ্বিতীয় বল্লালসেন যখন ঢাকায় রাজত্ব করিতেছিলেন, তখন রাজধানী রামপালের নিকটবৰ্ত্ত আবদুল্যাপুর গ্রামে বাবা আদম দলবল সহ আগমন করেন, এবং হিন্দুদুর্গের ভিতর গোমাংসখণ্ড নিক্ষেপ করায় রাজার বিষ নজরে পড়েন। * রাজার সহিত আদমের যুদ্ধ হইয়াছিল এবং সেই যুদ্ধে তিনি আদমের হত্যা সাধন করেন। আদমের মৃত্যুতে মুসলমানের ক্ষিপ্ত হইয়াছিল এবং ক্রমে বহুসংখ্যক দরবেশ ঢাকা অঞ্চলে আসিয়া দেশময় মুসলমান ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়া যান। এই সময়ে মীর সৈয়দালী তাত্রেজী বা সৈয়দালী পাতশ বহু অমুচরসহ ঢাকার অন্তর্গত ধামরাই অঞ্চলে আসেন। ধামরাই নগরে বড় দরগা উক্ত তাত্রেজীর নাম রক্ষা করিতেছে। চতুর্দশ শতাব্দীর শেষভাগে শ্ৰীহট্ট গৌড়, লাউড় ও জয়ন্তীয় এই তিন অংশে বিভক্ত ছিল। উহার গৌড় অংশের রাজা ছিলেন গোবিন্দ। এইজন্য সেই রাজা গোবিন্দকে গৌড়-গোবিন্দ বলিত। হিন্দুষ্ট্ৰপতি গৌড়-গোবিন্দ গোবধনিবারণ জন্য জনৈক মুসলমানের উপর অত্যাচার করিলে, সেই কথা দিল্লীতে • J. R. A. S. Vol. xiii part 1, p. 285, footforth s \ }; রামপালে বল্লাল-বাড়ীর সন্নিকটে বাবা আদমের মসজিদ জাছে ।