পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨જેbr যশোহর-খুলনার ইতিহাস । সুচিহ্নিত হইয়াছে। থী জাহান আলীর এই সকল কীৰ্ত্তিকে সংক্ষেপত: “খাঞ্জালী” কীৰ্ত্তি বলে। খাঞ্জালী হইতেও আরও সংক্ষেপ হইয়৷ “খাঞ্জাই” বা “খাঞ্জে” কথা হইয়াছে। যেমন খাঞ্জেপুর, খাঞ্জেদীঘি, থাঞ্জাই ইট প্রভৃতি। আমরা এই বিবরণীতে এই সকল সৰ্ব্বজনবিদিত কথাই ব্যবহার করিৰ। যশোহর-খুলনায় এমন লোক নাই, যে খাঞ্জালী কথা জানে না ; কিন্তু উহা যে থা জাহান আলী নামের অপভ্রংশ তাহা অতি অল্প লোকেই জানে। বারবাজার হইতে মুড়লী দিয়া বাগেরহাট পৰ্য্যন্ত প্রায় ৭০ মাইল দীর্ঘ একটি রাস্ত এখনও সৰ্ব্বলোকের নিকট খাঞ্জালী রাস্ত নামে পরিচিত আছে। এই রাস্তা তাহার গতিপথ নির্দেশ করিতেছে। এই রাস্তার পাশ্বে র্তাহার চারিটি সহর ছিল । ১ম, বারবাজার,—ইহা বহু প্রাচীন স্থান বলিয়া খাঁ জাহান আলী কর্তৃক কম্বা বা সহর নামে অভিহিত হয় নাই ; ২র, মুড়লী কসবা,—ইহা প্রাচীন মুড়লীর পশ্চিমপাশ্বে খ জাহান আলীর নব প্রতিষ্ঠিত সহর ; এই সহরে গরিব সাহ ও বেহরাম সাহ অধিষ্ঠান করেন। ৩য়, পয়ঃগ্ৰাম কসবা,—মুড়লী হইতে ২১২২ মাইল পূৰ্ব্বভাগে অবস্থিত। ৪র্থ, হাবেলী কসবা বা খালিফাতাবাদ,—বর্তমান বাগেরহাট, ইহা যশোহর হইতে অনুন ৫৬ মাইল পূৰ্ব্বে ভৈরবকুলে অবস্থিত। আমরা প্রথম দুইটার কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি; এক্ষণে অপর দুইটী অর্থাৎ পয়ঃগ্রাম ও বাগেরহাটের কথা বলিব । খ। জাহান আলী একজন অদ্ভুতকৰ্ম্ম পুরুষ ছিলেন। লোকমুখে অনেক অদ্ভূত কাৰ্য্য তাহার উপর আরোপিত হইয়াছে। প্রবাদের গালভরা ভাষায় অনেক কথা বলা হয়, তাহাতে গল্পও জমে বেশ ; কিন্তু তাহার ষোলআন বিশ্বাস করিয়া লওয়া যায় না। তবে ষোলআন না ধরিলেও তাহাতে কতক সত্য থাকে, তাহার উপর অবস্থা স্থাপন করাও দুৰ্ব্বদ্ধিত নহে। লোকে বলে থা জাহানের ষাটহাজার সৈন্ত ছিল, উহাদের অন্যান্ত যুদ্ধান্ত্রের মত একখানি বাজে অস্ত্র ছিল কোদাল । যুদ্ধবিগ্রহ সব সময়ে চলিত না, আবণ্ঠকও হইত না, লোকে পাঠানসৈন্ত দেখিলে বগুত। স্বীকার করিত। বিশেষতঃ লোকে খাঁ জাহানের জন-হিতৈষণায় মোহিত হইয় তাহাকে ভক্তি করিত। সুতরাং সৈন্তদিগকে অনেক সময় নিষ্কৰ্ম্ম থাকিতে হইত ; খ জাহান তাহাদিগের হস্তে কোদাল দিয়া কৰ্ম্ম দিয়াছিলেন। আজকাল ইংরাজ গবর্ণমেণ্ট শান্তিময় রাজ্যে