পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రిe e যশোহর-খুলনার ইতিহাস। দক্ষিণে দীর্ঘ পুষ্করিণীর জল ব্যবহার করিলে ধৰ্ম্মহানি হয় না। সুতরাং উত্তরদক্ষিণে দীর্ঘ হইলে উহার জল সৰ্ব্বঞ্জাতিতে সমভাবে লয়। জলদাতার ইহাই প্রধান লক্ষ্য বিষয় । থী জাহান আলী এ বিষয়ে কোন নিয়ম না মূনিয়া, উভয়প্রকারের অসংখ্য দীঘি খনন করিয়া গিয়াছেন। অনেক স্থানে তিনি হিন্দুর খনিত প্রাচীন জলাশয়ের সংস্কার করিয়াছিলেন, সে সকল স্থলে তাহার দীঘি উত্তরদক্ষিণে দীর্ঘ ন হইয়া পারে নাই। সিঙ্গিয়া, সেথহাটি প্রভৃতি স্থান ছাড়িয়া আসিয়া যেখানে ভৈরব ক্রমে ক্রমে অৰ্দ্ধচন্দ্রাকারে দক্ষিণবাহী হইতেছিল, সেইস্থানে পয়ঃগ্রামে খাঁ জাহান আর একটি কসবা বা নগরী স্থাপন করিলেন। র্তাহার রাস্ত সোজাভাবে গ্রামের মধ্য দিয়া চলিয়া গেল এবং উহা তাহার নূতন নগরীকে দুইভাগে বিভক্ত করিল। যে ভাগ রাস্তার দক্ষিণে থাকিল, তাহার নাম দক্ষিণডিহি এবং যে ভাগ রাস্তার উত্তরে থাকিল, তাহার নাম উত্তরডিহি । এই উত্তরডিহি নদীর তীরে ; সেইভাগে থা জাহানের আবাসস্থান ও মসজিদ প্রভৃতি নিৰ্ম্মিত হইল। উত্তরডিহির যে অংশে তাহার আবাসবাটিকা ছিল, তাহার নাম খাঞ্জেপুর। থাঞ্জালীর পূৰ্ব্বোক্ত প্রধান রাস্ত হইতে অন্ত একটা ৫০ ফুট বিস্তৃত রাস্ত উত্তরমুথে উত্তরডিহির মধ্য দিয়া নদীর দিকে গিয়াছে। ইহাই থাঞ্জালীর সহরের প্রধান রাস্ত। উহা হইতে বামে দক্ষিণে অপেক্ষাকৃত স্বল্পপরিসর বহুরাস্ত নির্গত হইয়া সহরটাকে চককাটা মত করিয়াছে। এই সকল রাস্তার দুইপাশ্বে লোকের বসতি হইয়াছিল। এখনও অনেক বসতি আছে, কিন্তু জঙ্গলই অধিক। এই জঙ্গলের মধ্য দিয়া ঘুরিয়া দেখিলে সরলরেখার মত সোজা রাস্তাগুলিকে আধুনিক পাড়াগেয়ে রাস্ত বলিয়া বোধ হয় না ; পরস্তু ইহারা যে কোন কৃতী পুরুষের উদ্দেশু ও কল্পনামুযায়ী নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। উক্ত উত্তরবাহিনী বড় রাস্তার দুই পাশ্বে একস্থানে দুইটি পুষ্করিণী আছে, উহার একটিতে অর্ণধার পুকুর ও অন্যটিকে সানের পুকুর বলে। সানের পুকুরের দক্ষিণ পাহাড়ে মৃত্তিক নিয়ে ইট পাওয়া গিয়াছে। সেখানে যে বান্ধা ঘাট ছিল তাহাতে সন্দেহ নাই। থী জাহানের পর কোন বিপ্লববশতঃ এই সকল স্থানে কিছুকালের জন্য লোকের বাস ছিল না, তাহাতেই এই সকল পুকুর ও কীৰ্ত্তি চিহ্ন সম্বন্ধে বহুপ্রবাদের স্বত্র হারাইয়া গিয়াছে। অনুমানের উপর নির্ভর করা ভিন্ন উপায় নাই। উক্ত বিপ্লৰ সময়ের