পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থা জাহানের শেষ জীবন। wరికి) করিতে হয় । খ জাহান আলির বেলায়ও একথা বিশেষ ভাবে প্রযুক্ত হইতে পারে । যাটগুম্বজ হইতে ১ মাইল পূৰ্ব্বদিকে এবং বাগেরহাট হইতে ৩ মাইল পশ্চিমদিকে গেলে, একটী রাস্ত দক্ষিণমুখে গিয়াছে, দেখা যায়। এই রাস্তায় প্রায় অৰ্দ্ধ মাইল অতিক্রম করিয়া খাঁ জাহান আলির একটি প্রধান জলাশয়ের কুলে উপনীত হইতে হয়। এই দীঘির নাম “ঠাকুর দীঘি। আমরা প্রসঙ্গতঃ পূৰ্ব্বে এই দীঘির কথা উল্লেখ করিয়াছি। শিববাড়ীতে এখনও যে বুদ্ধ প্রতিমার পূজা হইতেছে, উহা এই দীঘির মধ্যে পাওয়া গিয়াছিল ; বুদ্ধ ঠাকুর পাওয়া গিয়াছিল বলিয়াই এ দীঘির নাম “ঠাকুর দীঘি” হয়। সম্ভবতঃ এস্থলে পুরাতন বৌদ্ধ আমলে একটি উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘ পুষ্করিণী ছিল। কোন বিপ্লব বা পরজাতীয় আক্রমণের সময়ে বুদ্ধমূৰ্ত্তি সেই পুষ্করিণীর মধ্যে নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল। বৌদ্ধদিগের প্রতি হিন্দুর অত্যাচার বশতঃ এরূপ দুর্ঘটনা হওয়া বিচিত্র নহে। থী জাহান আলি সেই প্রাচীন পুষ্করিণীর খাতে প্রকাও দীর্ঘিকা খনন করেন, তৎসম্বন্ধে যে সকল কিম্বদন্তী আছে, আমরা পূৰ্ব্বে তাহার আলোচনা করিয়াছি। এ দীর্ঘিকার দৈর্ঘ্য প্রস্থ প্রায় সমান, এক একদিকে প্রায় ১৬০০ ফুট হইবে। ইহার পাহাড়ের উপর এমন ভীষণ নিবিড় জঙ্গল হইয়াছে যে, তন্মধ্য দিয়া যাতায়াত করা বা জলাশয় পরিমাপ করা সম্পূর্ণ অসম্ভব। শুধু উত্তর পাহাড়টির কতকাংশ একটু পরিষ্কৃত আছে, কারণ সেখানে ৬০ ফুট প্রশস্ত এক প্রকাও বাধা ঘাট রহিয়াছে। ঐ ঘাটের উপর র্থ জাহানের সমাধি-মন্দির। জলাশয়ের উপরিভাগের অধিকাংশ দামদলে সমাকীর্ণ হইয় পড়িয়াছে বটে, কিন্তু তবুও জল অতি নিৰ্ম্মল এবং সুস্বাছ ; সেই স্ফটিকবৎ নিৰ্ম্মল সলিলের কুলে দণ্ডায়মান হইলে, কিছুদূর পর্যন্ত বিচরণশীল ক্ষুদ্র মৎস্তটি এবং এমন কি, তলভূমিস্থ শুভ্র বালুকাকণাগুলি মুস্পষ্ট দেখা যায় ; আর মুখ উন্নত করিয়া দূরদৃষ্টি নিক্ষেপ করিলে, সেই বহুদূর বিস্তৃত বিশাল জলাশয় যে এক মহান দৃপ্ত প্রকটত করে, এবং তাহার অমেয় গভীরতার যে সন্দিগ্ধ আভাস দেয় তাহ বাস্তবিকই উপভোগের বিষয় । খাঁ জাহান ¥ रैक ¥•? পৃষ্ঠা।