পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হুসেন সাহ । Ogół এখনও তাহার মুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। গড়ের বাহির হইতে একটি প্রশস্ত রাস্ত প্রান্তর ও গ্রাম পার হইয়া, ভৈরবের কূল পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল। যদিও ঐ রাস্তার অনেক স্থান নিকটবৰ্ত্তা লোকে আত্মসাৎ করিয়াছে, তবুও একটু যত্ন করিয়া দেখিলে সোজা প্রশস্ত রাস্তাটি বাহির করা যায়। এত প্রশস্ত পথ সাধারণ কোন গ্রামে নাই। প্রবাদ আছে, হুসেন সাহ গৌড়েশ্বর হইবার পরেও অনেকবার চাদপুর আসিয়াছিলেন, তখন র্তাহার রাজতরণী আসিয়া উক্ত রাস্তার মাথায় ভৈরবের ঘাটে লাগিত; তাম্রকুট-সেবননিরত গল্পরসিক বৃদ্ধ অঙ্গুলি সঙ্কেতে সেস্থান প্রদর্শন করিয়া থাকে । কিন্তু গল্প বলিয়াই ইহা উড়াইয় দেওয়া চলে না। সাধারণ লোকের মধ্যে বহু পুরুষ ধরিয়া যে গল্প চলিয়া আসিতেছে, তাহার অতিরঞ্জনের অন্তরালে কিছু সত্য কথা নিহিত থাকে। এই গল্পের সহিত অন্তান্ত ঘটনার সামঞ্জস্ত সাধিত হইলে, একটা সজীব তথ্য স্বচ্ছন্দে ঐতিহাসিক উপাদানরূপে গৃহীত হইতে পারে। কাজিভাঙ্গায় এক্ষণে কাজিদিগের বসতি নাই বটে, কিন্তু তথাকার কাজিগণ খুলনা সহর বা তন্নিকটবৰ্ত্তী স্থানে বাস করিতেছেন এবং এখনও তাহারা এতদঞ্চলে সৰ্ব্বাপেক্ষা সম্মানিত বংশ বলিয়া বিশেষিত হইয়া থাকেন। হুসেন সাহের সহিত সম্বন্ধসূত্র তাহাদের গৌরব বদ্ধিত করিয়াছিল। হুসেন সাহ, তাহার ভ্রাতা ইয়ুসফ, পুত্রদ্বয় নসরৎসাহ ও মামুদসাহ এই চারিজনের নামে যশোহর-খুলনার প্রধান চারিটি পরগণার নাম হইয়াছে। খালিফতাবাদ অঞ্চলে যে হুসেন সাহের সম্বন্ধ ছিল, তাহার আরও প্রমাণ অাছে।. ই জাহানের সহরে হুসেন সাহের প্রকাও মসজিদ ও দীঘি আছে। বর্তমান বাগেরহাট সহর হইতে পশ্চিমমুখে দুই মাইল গেলে, ডানদিকে যে সুন্দর দশগুম্বজ মসজিদ আছে, উহাই হুসেন সাহের মসজিদ । উহার ভিতরের মাপ ৬৩ × ২৪ ফুট ; প্রতি ওম্বজের তলদেশের মাপ ১২ x ১২ ফুট ; এক এক সারিতে ৫টি করিয়া গুম্বজ। প্রাচীরের ভিত্তি ৬-৩ ইঞ্চি। মসজিদের সন্নিকটে প্রকাও দীঘি। স্থাপত্য বিষয়ে এই মসজিদ ধী জাহানের অন্ত কোন মসজিদ অপেক্ষ ভিন্ন নহে ; একই উপাদানে একই প্রকার স্থপতির হাতে গড় । সম্ভবতঃ ইহা থা জাহানের মৃত্যুর প্রাকালে বা অব্যবহিত পরে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ছসেন সাহ গৌড়েশ্বর হইলে তাহার প্রভুত্ব প্রথমে তাহার এই পুৰ্ব্ব পরিচিত প্রদেশেই 85