পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামচন্দ্র র্থ । ©ፃዕ তিনি অষ্টাদশ বিষ্ঠার বিশিষ্ট আলোচনা দ্বারা বিশ্বপ্রদীপ নামক গ্রন্থ রচনা করেন । - উক্ত বিরাট গ্রন্থের সামান্ত দুইখণ্ড মাত্র পাওয়া যাইতেছে। একখণ্ড জ্যোতিষ শাস্ত্রবিষয়ক ; উহা লণ্ডনে ইণ্ডিয়া আপিসের লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত হইয়াছে। অপর খণ্ড সঙ্গীতশাস্ত্রবিয়ষক, উহা মহামহোপাধ্যায় ঐযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহোদয় কর্তৃক নেপাল হইতে সংগৃহীত হইয়াছিল। তিনি উহার সংক্ষিপ্ত বিবরণী তৎসম্পাদিত পুথির তালিকায় প্রকাশিত করিবেন। অন্য ১৬ খণ্ড পুস্তকের এখনও কোন সন্ধান নাই। যদি উহাদের সন্ধান হয় এবং সমগ্র গ্রন্থখানি একত্র প্রকাশিত হইবার সুযোগ পাওয়া যায়, তাহা হইলে সেই বিরাট পুস্তক বিলাতী বিখ্যাত কোষগ্রন্থের (Encyclopedia) মত ভারতবর্ষের এক অপূৰ্ব্ব গৌরবস্তম্ভ প্রতিষ্ঠিত হইত। এই পুস্তকে কৃষ্ণানন্দ ও ভুবনানন্দ সম্বন্ধে যে দুই একটি শ্লোক পাওয়া যায়, তাহা দ্বারা উহার রাজসরকারে কিরূপ প্রতিপত্তি স্থাপন করিয়াছিলেন, তাহ সুন্দররপে বুঝা যায়। কৃষ্ণানন্দ সম্পৰ্কীয় শ্লোকটি এই – “কৃষ্ণানন্দঃ সমজনি ততে মেধ্যবিত্তৈরযোধ্যাকাশীবাসিদ্বিজপরিষদাং কল্পিতানম্নবৃত্তিঃ। গৌড়ক্ষেণীেপরিবৃঢ়দৃঢ়প্রেমসন্দর্ভপাত্র: বিদ্যানস্তামমুগুণনিক স্নানপূতান্তরাত্মা ॥” ইহা হইতে দেখা যাইতেছে, গোঁড়াধিপের প্রিয়পাত্র হইয়া সুপণ্ডিত ও পবিত্ৰাত্মা কৃষ্ণানন্দ অযোধ্য-কাশীবাদী ব্রাহ্মণদিগকে সেই সেই দেশে বৃত্তিদান করাইয়াছিলেন। কাশী অযোধ্যাদি দেশে বৃত্তিদান করিতে পারেন, সেরসহ ব্যতীত এমন কোন গৌড়াধিপের কল্পনা করা যায় না । হুসেন সাহের মৃত্যুর কয়েকবৎস পরে তৎপুত্র মাহমুদ সাহের রাজত্বকালে সেরসহ বীরবিক্রমে বঙ্গাধিকার করেন (১৫৩৮)। সুতরাং রামচন্দ্র খাঁ গোঁড়াধিপ হুসেন সাহের সমসাময়িক হইলে, তৎপুত্র কৃষ্ণানন্দ সেরাহের সমকালীন হইতে পারেন। অন্ত একটি শ্লোকে ভূবনানন্ধের কথা আছে – “মন্ত্ৰি-গৌড়বিড়েীজসঃ কৰিসম্ভাষণে কঞ্চন, শ্বেমানং দধাম্বভূব ভুবনাননোইমুজাতন্ততঃ।